
অনলাইন ডেস্কঃ
পরিবহণ, দিনমজুরি, নির্মাণসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে হতাহতের সংখ্যা কমেছে। চলতি বছরে এসব সেক্টরে ৯০৫ শ্রমিক নিহত ও ২১৮ জন আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালে নিহতের সংখ্যা ছিল ১৪৩২ জন ও আহত হয়েছিলেন ৫০২ জন। এই হিসাবে গত বছরের চেয়ে এবার শ্রমিক মৃত্যু কমেছে ৫২৭ জন, যা আগের বছরের চেয়ে ৩৬.৮ শতাংশ কম। আর আহতের সংখ্যা কমেছে ২৮৪ জন বা ৫৬.৬ শতাংশ কম। বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান উলেখ করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওশি ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়ক মাহমুদা সুলতানা øিগ্ধা জানান, ১৫টি দৈনিক সংবাদপত্র এবং এ ফাউন্ডেশনের মাঠপর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২৪ সালে হতাহত শ্রমিকদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে ১১৩ জন এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ৭৯২ শ্রমিক মারা গেছেন। পরিবহণ খাতে সর্বোচ্চ ৫২২ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৫২ জন। দিনমজুর নিহত হয়েছেন ১৪৮ জন ও নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন ৬২ জন।
মাহমুদা সুলতানা সিগ্ধা বলেন, কয়েকটি কারণে শ্রমিক হতাহতের সংখ্যা কমেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সরকারের জোরালো পদক্ষেপ, ব্যবসায়ীদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান।
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে শ্রম আইন অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি সমন্বয়ে সেফটি কমিটি গঠন, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকা প্রদান, সব সেক্টরে সেফটি অডিট চালু করা, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা অন্যতম। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. এসএম মোর্শেদ, গবেষণা ও পরিবীক্ষণ কর্মকর্তা নুর আলম উপস্থিত ছিলেন।