
শাহীন রহমান:
ক্ষমতাচ্যুত হবার পরে পাচ মাসেও ঘুরে দাড়াতে পারে নি আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা সরকার পতনের দিন ঢাকা ছেড়ে ভারতে গেছেন। এই মুহুর্তে দুই শতাধিক হত্যা মামলা তার নামে। শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ পর্যন্ত সবাই এখন মামলার আসামি, কেউই বাদ যাচ্ছেন না।
সর্বশেষ বাকি ছিল, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক হিসাবে পরিচিত, দুই দফায় প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা আব্দুল হামিদ, তিনিও অবশেষে মামলার আসামি হয়েছেন। এখন আর তেমন কেউ বাকি নেই আসামি হতে। সবার নামেই মামলা। এই মুহুর্তে শেখ হাসিনা ভারতের দিল্লিতে আছেন, কোথায় আছেন কেউ বলতে পারেন না। তার অবস্থান জানা না গেলেও ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপে নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি সবসময়েই এভেইলেবেল।
গত পাঁচ আগস্টে দেশে ব্যাপক ছাত্র- জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ঢাকা ছাড়েন। মুহুর্তেই তার মন্ত্রী- এমপিরা যে যার মতো জনরোষের ভয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলটি আজ ফ্যাসিস্ট দল হিসাবে ঘৃণার পাত্র। গন ধিকৃত দল হিসাবে সমধিক পরিচিত। মধ্য জুলাই থেকে শুরু হওয়া ৫ই আগস্ট পর্যন্ত চূড়ান্ত আন্দোলন চলাকালীন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকার ট্যাকেল দিতে ব্যর্থ হন।
ছাত্রলীগকে আন্দোলন দমাতে মাঠে নামানো ছিল ভুল সিন্ধান্ত, এটা আজ প্রমাণিত। ছাত্রলীগ একাই আন্দোলন ঠেকাতে পারে ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য বিক্ষুদ্ধ ছাত্রসমাজ ভালোভাবে নেয়নি। দমন-পীড়নের কারণে শতশত ছাত্র-জনতা-পুলিশ মারা যায়,নিজেদের ওভার কনফিডেন্স, ডিবি প্রধান হারুন কর্তৃক ছয় জনকে গ্রেফতার, খাওয়ানোর ঘটনা, ভিডিও করে ছেড়ে দেওয়ায় আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। রাজনৈতিক কৌশলে হেরে যান শেখ হাসিনা। টানা সতেরো বছরের শাসন ও শেখ হাসিনা অধ্যায়ের অবসান ঘটে।
সরকার পতনের পাচ মাস পেরিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসবেন এমন কথা একাধিকবার শোনা গেলেও সেটা বাস্তবে দেখা যায় নি। জানা গেছে, শেখ হাসিনার পাশাপাশি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সিনিয়র নেতা, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক এমপি, দলের নেতাদের একটি বড় অংশ ভারতের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে আছেন। তবে, নেতা কর্মীদের মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতাদের গড়পরতা ভারতে যাওয়া ভালোভাবে মেনে নেয় নি। তাদের মতে, দেশের সবচেয়ে প্রাচীন দলের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা এতে ফুটে উঠেছে। সাধারণ কর্মীরা নেতাদের গনহারে পলায়নে রীতিমতো বিস্মিত, ক্ষুব্ধ, দেশবাসীর কাছে লজ্জিত। তির্যক মন্তব্যের শিকার হচ্ছেন।
ভারতে অবস্থানরত নেতারা বিভিন্ন সময়ে দলের নেতা-কর্মীদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ কলে অংশ নিচ্ছেন। শেখ হাসিনা নিজেও গ্রুপ কলে বেশ কয়েকবার অংশ নিয়েছেন। শেখ হাসিনার সাথে ভারতে অবস্থানরত দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ একাধিক সিনিয়র নেতা, পরিবারের লোকজন দেখা করতে চেয়েছেন, কিন্তু শেখ হাসিনার কাছ থেকে অনুমতি মেলেনি।
তবে তিনি ওয়ান টু ওয়ান দলের তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কথা বলছেন। নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ তাকে কল দিয়ে যেমন কথা বলছেন, তেমনি তিনি নিজেও সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নেতাদের সাথে কথা বলছেন- বলেছেন। এদের অধিকাংশ নেতাই গত সতেরো বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে দলের সুযোগ সুবিধা বা পদবঞ্চিত ছিলেন।
সুত্র বলছে, এই পাচ মাসে শেখ হাসিনা সহস্রাধিক তৃণমূল নেতাদের সাথে কথা বলেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হবার পরে প্রথম প্রথম কয়েকটি শেখ হাসিনার অডিও ফাঁস হয়ে আলোড়ন তৈরি করলেও গত তিন মাসে তেমন একটা অডিও ফাঁস হয় নি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অডিওর গুরুত্ব বা আবেদনও এখন অনেকখানি কমে গেছে।
অন্যদিকে, সারা দেশেই লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতা- কর্মীরা ঘরছাড়া। গত পাচ মাসে তাদের বাসা বাড়ি, ব্যবসা- প্রতিষ্ঠান দফায় দফায় লুট হয়েছে, দখল করে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা। বেশ কিছু নেতা- কর্মী সারা দেশে গনধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। খুন- অপহরণ – অপমৃত্যুর শিকার হয়েছেন অনেকেই, বিশেষ করে ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা- কর্মী নিহত- আহত হন।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, হামলা- মামলা দেশের সব সরকারেই চলমান কিন্তু বাসা- বাড়িতে হামলা, লুট কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, মাছের ঘের বা বসত বাড়ির জমি- কৃষি জমি বা ইটের ভাটা দখল এমন ঘটনা স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এবারই প্রথম। এ এক নতুন কালচার।
এই জন্য বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবশ্য বিএনপি থেকে পাচ শতাধিক নেতা বিভিন্ন সময়ে কারন দর্শাও নোটিশ খেয়েছেন, কেউ সাময়িক, কেউ স্থায়ীভাবে বহিস্কার হয়েছেন। জামাত নেতাদের বিরুদ্ধেও এমন দখল, লুটপাটের অভিযোগ থাকলেও তুলনামূলকভাবে বিএনপি থেকে অভিযোগের সংখ্যা অনেক কম।
পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন সুত্র বলছে, দেশে বর্তমানে পঞ্চাশ হাজারের বেশি আওয়ামী লীগ, অংগ সংগঠন, চৌদ্দ দলের নেতা-কর্মী আটক আছেন। আদালতে আনা নেয়ার পথে মব জাস্টিস শিকারের ঘটনা এখনও ঘটছে। প্রশাসন থেকেও নির্বিকার- অনেকক্ষেত্রেই তারা অসহায়। অথবা ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে তারা ব্যর্থ হচ্ছেন, হয়েছে। এসব ঘটনা সারা দেশে এখন ওপেন সিক্রেট।
৭৫ এর ১৫ আগস্টের পরে এমন অসহায় অবস্থায় আওয়ামী লীগ আর কখনোই পড়ে নি। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ বড় ধরনের বিপর্যয় ফেস করছে। সবচেয়ে দুর্বিষহ অবস্থায় পড়েছে দেশের কোটি কোটি আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা। দল থেকে এসব নেতারা কোন সুযোগ সুবিধাই নেন নি।
সুত্র বলছে, এরা বঙ্গবন্ধুকে চিনে দল করে, এরা মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক, এরা কোন সুযোগ সুবিধা জীবনেও নেননি। কয়েকশো দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি, নেতাদের অবাধ দুর্নীতিতে দল খেসারত দিচ্ছে। ২০১৪ সালের রাতের নির্বাচন থেকেই আওয়ামী লীগের ফাইনালি পতন প্রক্রিয়া শুরু। পায়ের তলা থেকে মাটি ক্রমেই সরে গেছে, ভুলেও বুঝতে পারেন নি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
নতুন প্রজন্মের কোটি কোটি তরুন ন্যাশনাল আইডি কার্ড হাতে পেয়ে দারুনভাবে উৎফুল্ল ছিলো, ২০১৪ থেকে শুরু শেখ হাসিনার পতন পর্যন্ত কেউই ভোট দিতে পারে নি। কি জাতীয় নির্বাচন? কি স্থানীয় সরকার নির্বাচন? তাদের ক্ষোভের ঝাল মিটিয়েছেন কোটা বিরোধী আন্দলোনে সার্বক্ষণিক সক্রিয় থেকে।
আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা বা দলের নীতি নির্ধারনী মহল তরুন প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা, মনের ভাষা বুঝতে পারেন নি। দলের মধ্যেই এমপি লীগ, ভাই লীগের যন্ত্রণায় সাধারণ নেতা- কর্মীরা ছিলেন অতিষ্ট। হাই ব্রিডের নেতাদের দাপটে সবাই থাকতেন তটস্থ।
আওয়ামী লীগের সতেরো বছর শাসনামলে চাকরি বাকরি, টেন্ডার- ব্যবসা বানিজ্য বিএনপি- জামাত নেতারা হাসতে হাসতে নিয়ে গেছেন। দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা ছিলেন প্রকৃত অর্থেই অসহায়। দলের নেতাদের অতি দাম্ভিকতা, ওবায়দুল কাদেরের প্রতিদিনের বকবকানি দেশের মানুষ ভালো ভাবে মেনে নেয় নি। মাঠ পর্যায়ের নেতারা পর্যন্ত শত কোটি টাকা মালিক, এমপি- মন্ত্রীরা অধিকাংশই হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। সবার কাছেই যেনো আলাদীনের চেরাগ আছে। সত্যিই অদ্ভুত এই দেশের রাজনীতি।
সরকারে থাকা বেশ কয়েকজন মন্ত্রীরা টিভি স্ক্রিন দখল করে রেখেছিলেন। টিভি খুললেই তাদের চেহারা দেখে মানুষতো দূরে থাক, দলের নেতা-কর্মীরাই বিরক্ত হতো। সালমান এফ রহমান- এস আলমদের ব্যবসার ধরন, হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাটকে মানুষ ঘৃণার চোখে দেখেছে। মন্ত্রী এমপিদের বাচালতা, অতি কথন, গনহারে ব্যাংক লুট, নেতাদের ভোগ বিলাস, ফ্রি স্টাইলে চলাফেরা করা, বিপরীত রাজনীতির মানুষজনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, সব কিছুই দখলে বা নিজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা, দলকে পরিবারতন্ত্রে নিয়ে যাওয়া, পুলিশকে দলের অংগসংগঠনে রুপান্তর করা, খুন- গুম- ক্রসফায়ার সব কিছুই আওয়ামী লীগকে পিছিয়ে দিয়েছে। পদ বানিজ্য, মনোনয়ন বানিজ্য করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, জেলার নেতারা নিজেরাই নিজেদের শেষ করেছেন।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রচন্ড বাড়াবাড়ি করেছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে জন্ম শত বার্ষিকীতে শত শত মুরাল তৈরি, কোটি কোটি টাকা লুটপাট, অফিস আদালতে শত শত বঙ্গবন্ধু কর্নার তৈরি, কথায় কথায় বঙ্গবন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামকরনকে মানুষ ভালো ভাবে নেয় নি। এসব ঘটনা দল ও সরকার থেকে আমজনতাকে বিচ্ছিন্ন করেছে। ক্যান্সার যেমন শরীরকে শেষ করে দেয় তেমনি নেতাদের নানা অপকর্মে আওয়ামী লীগকে ক্যান্সারের মতোই তিলে তিলে ধ্বংস্ব করেছে।
সেই সময়ে ছাত্রলীগের দুর্নীতি, টেন্ডার বাণিজ্য, অন্য সংগঠনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ধর্ষণের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের দেশব্যাপী উন্নয়নকে ম্লান করেছে। বৃদ্ধ বয়সে মরণাপন্ন বেগম জিয়াকে নিয়ে টানা হ্যাচড়াও দেশের মানুষ ভালো চোখে নেয় নি। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকার জিয়া অরফ্যানেজ দুর্নীতি মামলা মানুষ বিশ্বাস করেনি।
এর মধ্যেই দলের প্রধান উইং ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে বর্তমান সরকার। দলের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতা, এমপি- মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুই শতাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫০০ কোটি ডলার ঘুষ বানিজ্যে বিতর্ক হওয়ার প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন শেখ হাসিনার ভাগ্নি, শেখ রেহানার মেয়ে, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র টিউলিপ সিদ্দিক।
পাচ আগস্টের পরে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস, ৫ আগস্ট শেখ কামালের জন্ম দিন, এর পরে ৮ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার জন্ম দিন, ৭ জুন ৬ দফা দিবস, ২৮ সেপ্টেম্বর দলের সভাপতি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম দিন, এর পরে ১৩ সেপ্টেম্বর শেখ রেহানার জন্ম দিন, ৩ রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস, ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস, ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সংহতি দিবস, ১০ নভেম্বর শহীদ নুর হোসেন দিবস, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস কোনটাই আওয়ামী লীগ পালন করতে পারে নি বা মাঠে নামার চিন্তাও করে নি।
বলা যায়, দল বা দলের নেতা-কর্মীরা মাঠেই দাড়াতে পারে নি। দাড়াতে পারছে না। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জাতীয় দিবস ছিলো। অন্য দিবসগুলিও আওয়ামী লীগের আবেগ- অনুভুতি সাথে জড়িত। জন্মের পরে দলটি এসব দিবস ঘটা করে পালন করলেও এবারই প্রথম,কোন ভাবেই আওয়ামী লীগ মাঠে নামতে পারে নি। পালন করাতো অনেক পরের ব্যাপার।
১০ নভেম্বর নুর হোসেন দিবসে ঘোষনা দিয়েও আওয়ামী লীগ মাঠে নামতে ব্যর্থ হয়েছে। ঢাকা দখল তো দূরে থাক, দলের গুলিস্তান বা ধানমন্ডি অফিসের আশেপাশেও অবস্থান নিতে পারে নি। দলের গুলিস্তান অফিস, ধানমন্ডি অফিস এখনও হাতছাড়া। ৫ আগস্ট দুই অফিসই পুড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র জনতা। ঐদিন ও ১৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগের দুই অফিস, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ছাত্র জনতা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে স্মৃতি হিসাবে ৩২ নম্বর ছিলো দেশবাসীর কাছে সমাদৃত।
বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি আজ অগ্নিদগ্ধ হয়ে হারিয়ে গেছে। জাতির জনকের মুর্যালে উঠে বিক্ষুব্ধ জনতার কেউ কেউ প্রস্রাব পর্যন্ত করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষে যে সুশীল সমাজ ছিলো, সবাই আজ ঘুমিয়ে। যারা গত সতেরো বছর সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন, সবাই আজ ঘরে উঠে গেছেন। টিভি চ্যানেলের মালিকেরাও চোখ পাল্টি দিয়েছেন।
৭৫ এর ১৫ আগস্টে জেনারেল জিয়ার শাসন আমলে নেতারা লুকিয়ে ছিলেন, ঘরোয়া ভাবে মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে ১৫ আগস্ট পালন করতে পারলেও এবার সেটাও করতে পারেন নি। নেতারা পালিয়ে থাকলেও ছাত্র- জনতার ভয়ে প্রকাশ্যে আসতে পারছেন না। পলাতক নেতাদের দাবি, ছাত্র- জনতার আগের মতো ক্ষোভ তেমন নেই, এখন ছাত্র জনতার নাম দিয়ে যা করছে সেটা জামাত- বিএনপি।
লেখক শাহীন রহমান, সম্পাদক, অন লাইন নিউজ পোর্টাল প্রথম সময় নিউজ ডটকম,
সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট