
বিশেষ প্রতিনিধি খুলনা থেকে:
প্রথম পর্বের পর খুলনা মহানগর বিএনপি’র সম্মেলনের ২য় পর্ব শুরু হয়েছে। বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে ভোটাভুটি শুরু হয়েছে। জিমনেসিয়ামের পাশেই উৎসুক নেতা- কর্মীদের ভিড়, মুহুমুহু শ্লোগানের মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহন চলছে।
এদিকে এর আগে আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দা রেহানা ঈসা।
প্রায় ১৬ বছর পরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এই তিনটি পদে প্রার্থী হয়েছেন ১২ জন। মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে বর্তমান আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির এবং দৌলতপুর থানা বিএনপির সদস্য সাহাজী কামাল টিপু প্রার্থী হয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন ৩ জন। প্রার্থীরা হলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহমুদ আলী এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর।
এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৬ জন প্রার্থী হলেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ বাবু, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ সাদী, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শের আলম সান্টু, সাবেক ছাত্রদল নেতা হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ ও তারিকুল ইসলাম তারেক। এর মধ্যে তারেক ছাড়া বাকিরা বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক।
তবে মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ তার অনুসারীদের কেউ প্রার্থী হননি। কাউন্সিল ঘিরে তাদের তৎপরতাও চোখে পড়েনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর মহানগর বিএনপির ৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি এবং পরে ২০২২ সালের ১ মার্চ ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছিল। ইতোমধ্যে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ড, তিনটি ইউনিয়ন ও পাঁচটি থানায় সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্মেলনের পর মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে ১৫১ সদস্যের। এর আগে খুলনা মহানগর বিএনপির সবশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর।