
অনলাইন ডেস্কঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ছাত্রশিবিরের প্রোগ্রামে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিতদের ছবি টাঙানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ছাত্র ফেডারেশন ঢাবি শাখা।
ছাত্রদল ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন তাদের যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের প্রদর্শিত ছবিতে স্বীকৃত গণহত্যাকারী রাজাকারদের ছবি এবং ২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলনের নামে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের সৃষ্ট মব জাস্টিস ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত রোষানলের শিকার সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি প্রদর্শন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সূতিগাকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানকে ও ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর এমন অপচেষ্টার প্রতি আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ছাত্র ফেডারেশন ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক ও সম্পাদক সাকিবুর রনি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘৫২ ভাষা আন্দোলন, ‘৬৯ গণঅভ্যুত্থান, ‘৭১ মুক্তিযুদ্ধ, ‘৯০ অভ্যুত্থান ও জুলাই অভ্যুত্থানসহ অসংখ্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার। হাজারও শহীদের রক্তে ভেজা ঢাবির পবিত্র এই ভূমিতে ‘৭১ গণহত্যার সাথে যুক্ত নিজামী-মুজাহিদ-কাদের মোল্লার ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে গণহত্যার অপরাধকে যেমন তারা স্বাভাবিকীকরণের চেষ্টা করছে, একইসাথে ঢাবির পবিত্র ভূমিকে কলঙ্কিত করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
তারা বলেন, আমরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই জঘণ্য কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে মহান মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করার যে ঘৃণ্য প্রচেষ্টা, তার অনুমোদন দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও জঘন্য অপরাধ করেছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার উদ্যোগে টিএসসিতে ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’ নামে আয়োজিত এক প্রদর্শনীর একাংশ নিয়ে বাধে বিপত্তি। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিতদের ছবি সেখানে দেখা গেলে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিকমাধ্যমে। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সেগুলো সরিয়ে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম।