
অনলাইন ডেস্কঃ
আগস্টের পর, কারাগার থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বের হওয়ার পাশাপাশি, মুক্তি পান নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। যারা প্রকাশ্যে করেন সভা-সমাবেশ। শুক্রবার (৭ মার্চ) হিজবুত তাহরীরের প্রকাশ্য শোডাউনে জনমনে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। এ ধরণের সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শ অপরাধ বিশ্লেষকদের।
ক্ষমতার পালাবদলের পর নতুন করে তৎপর নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর। ৭ আগস্ট সংসদ ভবনের সামনে প্রকাশ্যে সভা করতে দেখা যায় সংগঠনটির কর্মীদের। এরপর গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিও জানায় তারা।
সবশেষ গেলো শুক্রবার বায়তুল মোকাররম এলাকায় শোডাউন করে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়, হিজবুত তাহরীর। যাদের ছত্রভঙ্গ করতে বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। আটক করা হয় ২১ জনকে। পুলিশ বলছে, নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো তৎপরতা মেনে নেয়া হবে না।
৫ আগস্টের পর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তির পাশাপাশি নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর প্রকাশ্যে আসা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকেই।
একজন নারী বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো যখন প্রকাশ্যে আসবে আমাদের জন্য অবশ্যই হুমকি স্বরূপ হবে। তাই আমরা চাই না এমন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন প্রকাশ্যে আসুক।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, পুলিশের সক্রিয়তার পাশাপাশি এ ধরণের কাজে জড়িতদের কাউন্সেলিং করার পরামর্শ অপরাধ বিশ্লেষকের।
ঢাবির ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএম নাজমুস সাকিব বলেন, এই গ্রুপের সদস্যের সঙ্গে বসে আলোচনা করা। তারা কতটুকু করতে পারবে কতটুকু করতে পারবে না। সেটা সমাজে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে কিনা, এ বিষয়গুলো নিয়ে কিন্তু আলোচনার দরজার বাইরে জোর জবরদস্তি করে পুলিশ আসলে কারো বিশ্বাসকে দমাতে পারবে না।
২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর এক প্রেসনোটের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় হিজবুত তাহরীরকে।