
অনলাইন ডেস্কঃ
ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে অস্ত্রধারীদের হামলার ঘটনার জেরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দোকানপাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় কাশ্মীর দ্রুত ত্যাগ করছেন সেখানে অবস্থানরত পর্যটকরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শ্রীনগর বিমানবন্দরের ট্যুর অপারেটররা জানিয়েছেন, পেহেলগাম হামলার পর দেশি পর্যটকরা কাশ্মীর ছাড়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছেন। অনেক গাড়ি এখন বিমানবন্দরের দিকে আসছে। যারা অঞ্চলটিতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন, অনেকেই তা বাতিল করেছেন। দিল্লি থেকে কাশ্মীরগামী ফ্লাইট অনেকটাই ফাঁকা বলে জানিয়েছেন বিবিসির একজন সংবাদদাতা।
কাশ্মীরের ব্যবসায়ীরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এই অঞ্চলের রাজধানী শ্রীনগরের স্নায়ু কেন্দ্র লাল চক এলাকায় এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল কালো পতাকা ও প্ল্যাকার্ড। সেখানে লেখা ছিল, “সন্ত্রাসবাদকে না” এবং “নিরপরাধ হত্যা বন্ধ করুন”। সফররত পর্যটকদের উল্লেখ করে তারা স্লোগান দেন, “আমাদের অতিথিদের হত্যা বন্ধ করুন”।
পহেলগামের ওই হামলায় এখন পর্যন্ত মোট ২৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। জানা গেছে, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) একটি দল ইতোমধ্যেই শ্রীনগরে পৌঁছেছে এবং আরও কয়েকটি টিমের সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করছে, এই হামলার পেছনে রয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার একটি প্রক্সি গোষ্ঠী। ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কাশ্মীরের পেহেলগামের বাইসরান এলাকায় পর্যটকদের ওপর চালানো এই সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। এটি লস্কর-ই-তৈয়বারই একটি ছায়া সংগঠন বলে জানায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
এরই মধ্যে সফর সংক্ষিপ্ত করে সৌদি থেকে বুধবার সকালে ভারতে ফিরেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জেদ্দায় থাকা অবস্থায় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাৎক্ষণিক বিবৃতি দেন তিনি। মোদি বলেন, ‘এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।’