
অনলাইন ডেস্কঃ
জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবে। দলটির জাতীয় কাউন্সিলে এনসিপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা, জেলা ও সমমর্যাদার ইউনিটের ৫ জন, থানা পর্যায় থেকে ২ জন করে সদস্য হবেন। তারাই ভোটের মাধ্যমে এনসিপির দুই শীর্ষ নেতৃত্ব বাছাই করবেন।
শুক্রবার (২০ জুন) দলের সাধারণ সভায় এনসিপির খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তা জানানো হয়েছে।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে থাকতে পারবেন। তারা ‘রাজনৈতিক পরিষদ’-এর নিকট দায়বদ্ধ থাকবে। কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর। মেয়াদের শেষ নব্বই দিনের মধ্যে পরবর্তী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের পাশাপাশি ‘রাজনৈতিক পরিষদ’ও গঠিত হবে ন্যাশনাল কাউন্সিলের ভোটের মাধ্যমে। জরুরি সময়ে কিছু কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার দায়িত্ব পালন করবে ন্যাশনাল কাউন্সিল।
এনসিপির রাজনৈতিক পরিষদ সর্বোচ্চ ১৫ সদস্য বিশিষ্ট হবে। তার মধ্যে অন্তত তিনজন নারী সদস্য থাকবেন। পদাধিকারবলে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রাজনৈতিক পর্ষদের অন্তর্ভূক্ত হবেন। এই পর্ষদের দুইজন সদস্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বারা মনোনীত হবেন।
দলটির নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন দাখিল করার ব্যাপারে আজকের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। আগামী ২২ জুন ইসিতে আবেদন জমা দেয়া হবে। এ বিষয়ে দলটি মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসাকে দায়িত্ব দিয়েছে।
এদিকে, গৃহীত ‘খসড়া গঠনতন্ত্র’ আগামী কাউন্সিলের পূর্বে প্রয়োজন সাপেক্ষে বর্তমান প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমিটি সংশোধনী আনতে পারবে। আর শিগগিরই দলের কাউন্সিল করা হবে জানিয়েছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।