
অনলাইন ডেস্কঃ
নতুন ধারার দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়েছেন আবু সাঈদ খান। একই সঙ্গে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে এসেছেন এহসান মাহমুদ।
আজ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদককে বরণ করে নেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে বিদায়ী সম্পাদক আবুল মোমেনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এর আগে দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আবু সাঈদ খান। এহসান মাহমুদ সমকালের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নতুন দায়িত্বগ্রহণকালে আবু সাঈদ খান বলেন, ‘পত্রিকা একটা টিম ওয়ার্ক। এককভাবে কোনো সম্পাদকের পক্ষে এগোনো সম্ভব নয়। টিম যদি দুর্বল হয় বা ঘাটতি থাকে তাহলে এগোনো যায় না। এজন্য সবাইকে সক্রিয় হতে হবে। এখানে অনেকের দুঃখ থাকে, কষ্ট থাকে। এগুলো নিয়েই এগোতে হবে। আমরা এই দুঃখ-কষ্ট দূর করার চেষ্টা করব।’
আমাদের সময় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের সময় সম্পর্কে আমি আগেও শুনেছি, এখানে ভালো একটা টিম আছে। কোনো কোন্দল নেই, গ্রুপিং নেই। আমরা এই পরিবেশটা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’ বিদায়ী সম্পাদক আবুল মোমেন সম্পর্কে আবু সাঈদ খান বলেন, ‘উনার লেখা আমি পড়েছি, পড়ি। তিনি এখানে এখনো লিখবেন এবং বুদ্ধি-পরামর্শের জন্য আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করব।’
বিদায়ী সম্পাদক আবুল মোমেন বলেন, ‘আজকে আমার বিদায়ের দিন। আমাদের সময়ে আসি ২০১৩ সালের জুলাইয়ে। আমি জুনে বোধহয় ছেড়েছি (প্রথম আলো), আর জুলাইয়ে এখানে (আমাদের সময়) যোগ দিয়েছি। তখন আমি ঠিক করেছিলাম, আমি যতদিন থাকব উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে থাকা এবং ডেইলি রীতি-নীতি যেটা নিউজপেপারের, সেটার সঙ্গে থাকব না। সেভাবেই চলছিল, আমি চট্টগ্রাম থেকে খানিকটা ফোনে এবং লম্বা লম্বা অনেকগুলো প্রস্তাব লিখে, পরিকল্পনা দিয়ে চেষ্টা করতাম পত্রিকাটাকে একটা লাইনে আনার। আর যখন অফিসে আসতাম তখন তো সামনাসামনি মিটিং হতো।’
আজ আমাদের সময় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পত্রিকার নতুন সম্পাদক আবু সাঈদ খান ও বিদায়ী সম্পাদক আবুল মোমেন
তিনি বলেন, ‘সেভাবে চলতে চলতে একটা পর্যায়ে এডিটর চেঞ্জ হচ্ছে, তখন আলী হোসেন সাহেব (পিএইচপি গ্রুপের পরিচালক) ফোন করে বললেন, ‘‘আপনাকে তো একটু দায়িত্ব নিতে হবে’’। আমি বললাম, এসব ডেইলি ঝামেলার মধ্যে যেতে চাচ্ছিলাম না এই বয়সে। ‘‘না, কিছু দিনের জন্য হলেও নিতে হবে’’। সেই কিছু দিন প্রায় দুই বছর হয়ে গেল।’
আমাদের সময় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অনেক পত্রিকায় অনেক দল-উপদল তৈরি হয়, যেটা এখানে নেই। এখানে সবাই পত্রিকাটাকে ভালোবেসে একসঙ্গে থাকতে চায় এবং মান্যতা, গণ্যতাটা এখানে অনেক ভালো।’
নতুন সম্পাদক আবু সাঈদ খানের নেতৃত্বে আমাদের সময় এগিয়ে যাবে বলেও প্রত্যাশা করেন বিদায়ী সম্পাদক আবুল মোমেন।