
অনলাইন ডেস্কঃ
রাজধানীর সূত্রাপুর কাগজিটোলায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় তিন ছেলে মেয়ের পর মারা গেলেন বাবা রিপন (৪০)। এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজন মারা গেল।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যান রিপন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে মারা যান রোকন। সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে মারা গেছে তাদের দেড় বছরের মেয়ে আয়েশা। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে মারা যায় তামিম।
জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, রিপনের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ছিল। রিপনের স্ত্রী চাঁদনী ৪৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে নিজে ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়ি চলে গেছে।
এরআগে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সূত্রাপুর কাগজিটোলা এলাকায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন, ভ্যানচালক রিপন (৪০), তার স্ত্রী চাঁদনী (৩৫), ছেলে তামীম (১৮), রোকন (১৪) ও মেয়ে আয়শা (১.৫)।
দগ্ধ রিপনের মামা জাকির হোসেন জানান, তিন ছেলে মেয়ের মৃত্যুর পর মা চাদনী আর হাসপাতালে থাকতে চায়নি। মরলে বাড়িতেই মরবে। এই অবস্থায় গত বুধবার ইচ্ছাকৃত ভাবে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। সেখানে তিন ছেলে মেয়ের দাফন দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সূত্রাপুর কাগজিটোলা সাঈদ চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশের একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকে ওই পরিবারটি। ওই রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করেই বাসায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তারা আগুনে পুড়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাড়িটির আসবাবপত্রও। পরবর্তীতে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বাসায় গ্যাস লিকেজের কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। তাদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায়।