
অনলাইন ডেস্কঃ
খুলনার ডুমুরিয়ায় চাঞ্চল্যকর রেবেকা বেগম হত্যার রহস্য পুলিশ উদঘাটন করেছে। ক্লুলেস মামলায় তদন্ত শুরু হওয়ার পর ৫৩ বছর বয়সী প্রেমিক প্রদ্যুৎ কুমার মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। বিয়ের জন্য বারবার চাপ দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি রেবেকাকে হত্যা করেছেন বলে আদালতে স্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, প্রদ্যুৎ ও রেবেকার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভিন্ন ধর্মের কারণে প্রদ্যুৎ তাকে বিয়ে করতে পারছিলেন না, কিন্তু রেবেকা বারবার বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় ২১ জুন সন্ধ্যায় বান্দা এলাকায় তিনি রেবেকাকে হত্যা করেন। পরবর্তীতে তার দেখানো মতে আলামত উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ২১ জুন সকাল ৭টার দিকে কোমলপুর গ্রামের মৃত ইনছান সরদারের মেয়ে রেবেকা নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন বিকেলে ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের বান্দা গ্রামের একটি মাছের ঘেরের পাশে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল।
নিহতের বোন পারুল বেগম ডুমুরিয়া থানায় মামলা করেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ২৭ জুন প্রদ্যুৎকে গ্রেফতার করে। শুরুতে কারাগারে থাকলেও পরে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে জানান, ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে এবং আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে মূল রহস্য উদঘাটন করেছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।