
অনলাইন ডেস্কঃ
৫২ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অনশনরত শিক্ষার্থীদের শরবত পান করিয়ে অনশন ভাঙালেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে ৭ দফা দাবিতে অনশনরত ৯ শিক্ষার্থী উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন থেকে সরে আসেন।
বুধবার দুপুর ১২টায় বিভিন্ন সংগঠনের ৯ শিক্ষার্থী অনশনে বসেন। অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন- বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র, সঙ্গীত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর চবি শাখার সভাপতি জশদ জাকির, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে, স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক রাম্রা সাইন মারমা, ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষার্থী এবং বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহমেদ মুগ্ধ ও দপ্তর সম্পাদক নাঈম শাহজান, মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার।
‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ৭ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহতদের তালিকা প্রকাশ ও উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা, নিরাপত্তাহীন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ভ্রাম্যমাণ আবাসন ব্যবস্থা, আবাসনচ্যুতদের মালামাল উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ, চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা ও নিরপরাধ এলাকাবাসীদের হয়রানি বন্ধ, দ্বন্দ্ব নিরসনে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন ও তিন মাস পরপর বৈঠক করা, সিন্ডিকেট কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়ন করা।