
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ব্যক্তিগত কাজে গত বছরের ১৩ জানুয়ারি সরকারি গাড়ির নিচে চাপা দিয়ে দুজনকে হত্যা করেন নেত্রকোনার ডিসি ফুড মো. মিজানুর রহমান।
খাদ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত বছর ১৩ জানুয়ারি কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ব্যক্তিগত কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। তিনি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-১৩-৯৩৩০) নিয়ে টাঙ্গাইল যাওয়ার সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় দুজন মানুষ মারা যান। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বিষয়টিকে নিতান্তই দুর্ঘটনা বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। ডিসি ফুড মিজানুর রহমান বলেন, আমি মৌখিক অনুমোদন নিয়ে গাড়িটি ব্যবহার করেছি। দুর্ঘটনা শিকার হয়ে আমার হাত ভেঙে গেছে। দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। এখানে আমার তো কোনো অবহেলা ছিল না।
পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, সে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়াই গাড়ি ব্যবহার করেছেন। তদন্তে তাকে দোষীও করা হয়েছে এবং তার বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে। তবে যে দুজন নিরীহ মানুষ মারা গেছেন, সে বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ এবং সে বিষয়ে শুধু (নিহত ব্যক্তির) তাদের পরিবারের সদস্যরা আলাদা মামলা করতে পারেন। সেই মামলার সঙ্গে খাদ্য বিভাগের মামলা ও তদন্তের মিল থাকবে না। কারণ সেটি ফৌজদারি মামলা।
খাদ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জানান, দুর্ঘটনায় শিকার গাড়িটি খাদ্য গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের গাড়ি। ডিসি ফুড সেই গাড়ি ব্যবহারের কথা না। সেই গাড়ি মেরামতের লাখ লাখ টাকা কে দেবে বা দিয়েছেন। মৃত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে মীমাংসা হয়েছে। একজন ডিসি-ফুড এত কিছু কি করে প্রভাব খাটিয়ে ম্যানেজ করলেন? বিষয়টি তদন্তের দাবি রাখে।