
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হত্যাচেষ্টা মামলায় আগাম জামিন পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, মরে গেলেও বিবেক ও মুখ বন্ধ রাখব না। বিবেক ও মুখ বন্ধ করার জন্যেই হয়তো এই হত্যাচেষ্টা মামলা দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর খিলগাঁও থানার মামলায় সোমবার (২১ অক্টোবর) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন জেড আই খান পান্নাকে আগাম জামিন দেন।
জামিন আদেশের পর জেড আই খান পান্না বলেন, আমি এমন কোন কাজ করিনি যে আমার নামে মামলা দেওয়া হবে। রাজনৈতিক মামলা হলে মেনে নিতাম। সেখানে আমার আপত্তি ছিল না, জীবনে অনেক মামলা খেয়েছি। তবে একটা হত্যা চেষ্টার মামলা তাও মেরাদিয়ায়, যেটা কোথায় আমি জানি না, ওখানে কখনো যাইওনি। এটা আমাকে কষ্ট দিয়েছে।
প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, আজ একটি পত্রিকায় দেখলাম, বাদি বলেছে সে আমাকে চেনেই না। তাহলে এই মামলা কেন, আমার বিবেক বা মুখ বন্ধ করার জন্যে হয়তো। তবে আমি মরে গেলেও আমার বিবেক বা মুখ বন্ধ হবে না।
এর আগে গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে খিলগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। ১৭ অক্টোবর মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের। এ মামলায় আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ মামলার ৯৪ নম্বর আসামি।
এই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে। জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় আদালতে উপস্থিত হন জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী। তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। আবেদনকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী শাহদীন মালিক ও মো. শাহীনুজ্জামান শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা।