
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তায় নিয়োজিত বেসরকারি সেচ্ছাসেবী সংস্থা সোসাইটি ফর অ্যাসিস্ট্যান্স টু হিয়ারিং ইম্পেয়ার্ড চিলড্রেনের (সাহিক) সাধারণ সম্পাদক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম এইচ সালাহউদ্দিন পদত্যাগ করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা জানান, সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকালে সাহিক হাসপাতালের সভাকক্ষে এসব অভিযোগ নিয়ে বৈঠকে বসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে তিনি পদত্যাগ করেন। এসময় হাসপাতালের আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, এম এইচ সালাহউদ্দিন কোনও কারণ ছাড়াই গায়ে হাত তোলেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই কর্মকর্তা কর্মচারীদের ওপর নির্যাতন করে আসছেন। এর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে হাসপাতালের বাইরে ‘লাথি দিয়ে বের করে’ দেওয়ার নির্দেশ দিতেন। বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে নানা ওজুহাতে সেখান থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ আছে।
বৈষম্যবিরোধী সাহিক ছাত্র-জনতার ব্যানারে বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিল। পদত্যাগপত্রে সালাহউদ্দিন ‘ব্যক্তিগত কারণে’ পদত্যাগ করার কথা উল্লেখ করেন।
শ্রবণ প্রতিবন্ধীতা প্রতিরোধ, প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং পুনর্বাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি সংস্থা সাহিক, যা ১৯৮৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদফতর এবং ১৯৯০ সালে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত হয়।