
বিশেষ প্রতিনিধি:
নিজ জেলার পলাতক অসহায় দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল।
জানা গেছে, অন্তত অর্ধ ডজন মামলায় জামাল এই মুহুর্তে পলাতক আসামী। তারপরেও অজ্ঞাত স্থান থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন, যতটুকু সম্ভব পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। ৫ আগস্টের পরে খুলনাতে দলের সিনিয়র নেতারা অধিকাংশই পলাতক।
জেলার সভাপতি বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় হাটাচলা করতে পারেন না, ৫ আগস্টের পরে তার ফোন টোটালি বন্ধ, কোন নেতা-কর্মীরা তাকে পাননি। একই অবস্থা জেলার সাধারণ সম্পাদকের ক্ষেত্রেও।
জনশ্রুতি আছে, তিনি ভারতে পালিয়ে গেছেন, আর ফিরবেন কিনা সেটা কেউই বলতে পারেন নি। তার ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ সব বন্ধ। জেলার তিন এমপি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে।
একজন সহসভাপতি প্রচন্ডভাবে মার খেয়ে আজও অসুস্থ। সিনিয়র একাধিক সহসভাপতি,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক রীতিমতো আত্মগোপনে,কারোর কোনো খবর নেই। সবার ফোনই বন্ধ।
মাঠে ছিলেন এমন এক সাবেক এমপি দুদকের মামলার কারনে আত্মগোপনে। খুলনা- ১ আসনের সাবেক এমপি কোথায় কেউ জানে না। জামাল তার ঘনিষ্ঠ জনদের বলেছেন, সিনিয়র নেতারা পরামর্শ দেবেন, উলটা তারা আমার কাছে পরামর্শ চান৷
জামাল তাদেরকে আরও বলেছেন, এভাবে পালিয়ে থাকা যায় না। এটা অসম্ভব কঠিন ব্যাপার অন্তত এই ফোরজি, ফাইভজির জামানায়। তাই জামাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্যারেন্ডার করার, এ জন্য উচ্চ আদালতে জামিন চাইবেন।
জামিন মিললে ভালো, না মিললে এক আধ মাস জেল খাটা লাগবে, এমন মানসিকতা নিয়েই স্যারেন্ডার করবেন। দলে যারা অসহায়, তাদের জন্য নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে লিগ্যাল এইড সেল খুলে দিয়েছেন।
আদালতে জামিন নিতে তাদের কোন ফি বা টাকা খরচ করা লাগবে না, এমন ম্যাসেজ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে জামাল ইতমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন জেলার সব নেতাদের।