
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোর ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করার কয়েক ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
‘আমি ভেবেছিলাম বঙ্গভবনের দরবার হলে, যেখানে সকল রাষ্ট্রপতির ছবি রাখা হয়, সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো হয়েছে। আসলে বঙ্গভবনের অন্য একটি কার্যালয় কক্ষ থেকে ছবিটি সরানো হয়েছে,’ তিনি বলেন।
এক বিবৃতিতে, বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার আইন করে শেখ মুজিবের ছবি সর্বত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করেছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এ ধরনের ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো প্রভাব থাকবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
‘অফিস-আদালত সর্বত্রই অপশাসনের প্রতীক থাকা উচিত নয়। সেই অযাচিত বক্তব্যের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি,’ বিএনপি নেতা বলেন।
এর আগে দিনের শুরুতে, রিজভী বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোর সমালোচনা করে একে অনুপযুক্ত পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছিলেন।
‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরিয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ছবিটি পুনঃস্থাপন করেন,’ তিনি বলেন।
বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে রিজভী এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতা অভ্যুত্থানের স্মরণে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দলটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনি হয়তো এটি করেছেন, কিন্তু সময় সবসময় একভাবে চলে না। সকলের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করা উচিত। তাই আমি মনে করি তার (মুজিবের) ছবি সরানো উচিত হয়নি,’ বলেন রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী আরও বলেন, ইতিহাসই শেষ পর্যন্ত জাতীয় জীবনে ব্যক্তিদের অবদানের বিচার করবে এবং যে কারো অবদান ও অপকর্মের মূল্যায়ন ও বিচার করা জনগণের দায়িত্ব।
‘আমরা আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণমনা নই, তাই আমরা বিশ্বাস করি বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি,’ বিএনপি নেতা বলেন।
সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লিখেছেন: ‘শেখ মুজিবুর রহমান—’৭১-পরবর্তী ফ্যাসিস্ট—এর ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। এটা লজ্জাজনক যে ৫ আগস্টের পর আমরা বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি।’