
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি অর্থনীতিবিদ, উন্নয়নকর্মী, রাজনীতি বিশ্লেষক, স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ। এ ছাড়া তিনি নাগরিক সংগঠন ‘সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার উপর অর্পিত দায়িত্ব ও পরিকল্পনার নিয়ে কথা বলেছেন দৈনিক ইত্তেফাক ডিজিটালের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন তানভীর আহাম্মদ।
আপনার উপর অর্পিত দায়িত্বের বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন কি?
বডিউল আলম মজুমদার: আমি এই দায়িত্ব পেয়ে অনেক সম্মান্বিত বোধ করছি। আমি আমার কর্মজীবনে শুরু থেকেই জনসেবার কাজে নিয়জিত ছিলাম। এই ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ পেয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের ক্ষুধা ও দারিদ্র দূরীকরণে আমি অনেক আগে থেকে কাজ করে আসছি। আমি বিগত সময়ে দেখেছি মানুষের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগের যে ক্ষুধা রয়েছে সেটা দূরীকরণের জন্য আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটার সুযোগ পেয়ে আমি অনেক সম্মান্বিত বোধ করছি। শুধু তাই নয় আমার সঙ্গে যারা সহকর্মী আছে তাদের কাজের স্বীকৃতিও বটে। এমন একটি গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব দিয়ে এই দেশের মানুষের সেবার করার সুযোগ দিয়েছেন সেই জন্য আমি এবং আমার সকল সহকর্মীদের পক্ষ থেকে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় ।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার পদত্যগের দিন বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। অবাধ, নিরপেক্ষ, কালো টাকা ও পেশিশক্তি-বিবর্জিত এবং পুলিশ-প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না। বাধাগুলো কোথায় ? তার এই মন্তব্যের আপনি এই বিষয়টি কিভাবে মুল্যায়ন করবেন?
বডিউল আলম মজুমদারঃ আমি মনে করি নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের পাশাপাশি সরকারের বাস্তবিক প্রয়োগ করা সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। এইখানে রাজনৈতিক এক্যমতের প্রয়োজন অনেক বেশি। একটি গণতান্ত্রিক দেশের আইন মেনে চলার প্রবনতা থাকাটা জরুরি বেশি। সবাই যদি আইন মেনে চলে তাহলে আর কোনো চ্যালেঞ্জই থাকে না। বিগত সময়ে দেখেছি আইন আছে কিন্তু বাস্তবিক অর্থে সেটার প্রয়োগিক নাই। যার কারণে আমাদের দেশের প্রতিটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচনকালীন সময়ে আইন অমান্যকারী যে অপরাধ করেছে তাদেরকে শাস্তি না দেওয়া ছিল প্রধান বাধা। যার কারণে অপরাধীরা দিনের পর দিন নির্বাচনী অপরাধ সংঘঠিত করে গেছে। সর্বশেষ নির্বাচন কমিশনার যা করেছে তা সবই ছিল আইন বর্হিভুত। একটি দল বা একজন ব্যাক্তিকে খুশি করার জন্য আইনের অপব্যবহার করে গেছে। যার ফলশুতিতে আমরা ৫ই আগষ্টের মত ঘটনার সাক্ষী হয়েছি। যা বিগত ৫৩ বছরের ঘটেনি। নির্বাচন কমিশনারের কাছে নির্বাচনকালীন সময়ে অগাত ক্ষমতা থাকে যার পুরোপুরি অপব্যবহার হয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ, কালো টাকা ও পেশিশক্তি-বিবর্জিত এবং পুলিশ-প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে যে বাধা গুলো থাকে সেগুলো পরিত্রাণের জন্য আইন রয়েছে, চাইলে নির্বাচন কমিশন সে বাধা গুলো অতিক্রম করে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব। কিন্তু তা বিগত কোনো নির্বাচন কমিশন তা করেনি। তারপরও বলবো কিছু জায়গায় আইনের ত্রুটি রয়েছে যেগুলো এবার আমরা সংস্কার করার চেষ্টা করবো যেন আগামীতে যে কমিশন আসবে তারা যেন সততা ও নিষ্ঠার সাথে দেশের মানুষের ভোটের ক্ষুধা নিবারণ করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
১৯৭৩ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যত গুলো নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৪ টা নির্বাচন হয়। সূক্ষ্ম কারচুপির সীমিত সমালোচনা সত্ত্বেও, সার্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছিল। আগামী নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে আপনি কি কি পদক্ষেপ নিবেন?
বডিউল আলম মজুমদার: ১২ টা নির্বাচনের মধ্যে ৪ (চার) টা নির্বাচন ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। যার ফলে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। কিছু ভুলত্রুটি থাকলেও মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। এতে স্পষ্ট যে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে, একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার দায়িত্বে থাকা অতিব জরুরি। তার অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করতে পারে। অন্য ৮ টি নির্বাচনের সময়ে দলীয় সরকার থাকায় নির্বাচন গুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও তার সমর্থন করে অন্যায় করেছে, তাই সবাই সমান অপরাধী। সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আইনী কাঠামোতে যেন কোনো ফাঁকফুকর না থাকে সেইগুলো নিয়ে আমরা কাজ করবো।
আপনি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছেন সেইক্ষেত্রে তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের নির্বাচন ছাড়া অন্য নির্বাচন গুলো নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ ও অগ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেইক্ষেত্রে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে স্থায়ী রাখার বিষয়ে আপনার কমিশন থেকে কোনোরুপ পদক্ষেপ নিবে কি না?
বডিউল আলম মজুমদার: সংবিধান সংশোধন করতে হবে। আমাদের সাংবিধানিক আইনেই ছিল। বিগত সময়ে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে একজন কর্মী পর্যন্ত সবাই আইন অমান্য করেছে। কাউকে আইনের আওতায় না আনা, তার মধ্যে আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি নষ্ট করে একক আধিপত্য বিস্তার করা। যেমন বিগত আওয়ামী সরকার অবৈধভাবে সংশোধনী এনে উচ্চ আদালতকে ব্যবহার করে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। যে কারণে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে। তৎকালীন সময়ে আমিসহ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিরুদ্ধে রিট করেছি। আশা করছি আমাদের রিটের প্রেক্ষিতে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় ফিরে আসবে। তখন সেটাকে যদি সরকার স্থায়ীভাবে সাংবিধানিক সংকলন করে তাহলে আর কোনো জটিলতা থাকবে না। তারপরও অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে আমাদের পরামর্শ থাকবে নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার যেন স্থায়ীভাবে সংবিধানে অর্ন্তভুক্ত করা হয়।
বিগত সময়ে ইভিএমের মাধ্যেম ডিজিটাল ভোটিং পদ্ধতি চালু হলেও তেমন সুফল আসে নাই। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আপস, অনলাইন কিংবা অন্যকোনো মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থায় যুক্ত করার পরিকল্পনা থাকবে কি না আপনার কমিশনে?
বডিউল আলম মজুমদারঃ এই মুহুর্তে ঘরপোড়া গরুর আমরা, নাম শুনলেই অনাস্থা চলে আসে। আমাদের পুর্বে যে ইভিএম ব্যবহার করেছে সেগুলো ত্রুটিপুর্ণ ছিল। যখন আমাদের দেশে ইভিএম আনা হয় সেই সময়ে কারিগরি বিভাগের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন বুয়েটের ভিসি প্রফেসর জামিলুর রেজা চোধুরী, তিনি কিন্তু যাচাই বাছাই শেষে ইভিএমের উপর অনাস্থা দিয়েছিলেন, কিন্তু তৎকালীন আওয়ামী সরকার রাজনৈতিক স্বার্থ ও বাণিজ্যিক বিবেচনায় ইভিএম কেনা হয়েছিল। ইভিএম জন্য রাজনৈতিক এক্যমতের ভিত্তিতে ব্যবহারের কথা ছিল কিন্তু সেটা করে নাই। তাছাড়া যে ইভিএম গুলো আমাদের দেশে আনা হয়েছিল সেইগুলো অডিট করার কোনো সুযোগ ছিল না, ভোট গ্রহনের সময় কোনো পেপার স্লিপ দেয়া হত না। যার কারণে সবার মধ্যে অনাস্থা ছিল বেশি। যদিও উন্নত বিশ্বে ইএভিএম ব্যবহার আছে, ই-ভোটিং আছে,
আই-ভোটিং আছে, ডিজিটাল এপস ভোটিং পদ্ধতি চালু আছে, ভবিষ্যতে আমাদেরকেও ওইদিকে যেতে হবে, এখন থেকে চালু করতে পারলে ভালো হত। কিন্তু সেখানে সকলের ঐক্যমতের প্রয়োজন। সব থেকে বেশি জরুরি রাজনৈতিক ঐক্যমত। তবে আমাদের সংস্কারের ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে যদি সবার ঐক্যমত থাকে তাহলে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আধুনিক ভোটিং পদ্ধতিতে আসতে পারে, না হলে পুর্বের ন্যায় পেপার ব্যালটের মধ্যে হবে। তবে আস্থার জায়গায় তৈরি হতে হবে। আমি মনে করি, আধুনিক ভোটিং পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন, যেখানে সকলের ভোট গ্রহন নিশ্চিত হবে।
সর্বশেষ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রায় ১৩ কোটি ভোটার রয়েছে, তার মধ্যে ৩ কোটির বেশি ভোটার প্রবাসে থাকে। আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে কি না?
বডিউল আলম মজুমদারঃ প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করি, কেননা প্রবাসীদের টাকায় আমাদের দেশের উন্নয়ন হয়। যে সরকারই আসছে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য তাগিদ দেয় কিন্তু কখনো তাদের অধিকার দাবি দাওয়া নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয় নাই। প্রবাসীরা শুধু দেশকে দিয়ে যায় কিন্তু বিনিময়ে কিছু পায় না। তাদেরও ভোট প্রদানের অধিকার রয়েছে সেই অধিকার দেওয়া উচিত। তবে সেইক্ষেত্রে অনলাইন ই-ভোটিং বা এপস পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন করতে হবে। শুধু প্রবাসীদের না, যারা নির্বাচনী দায়িত্বে থাকেন, অথবা ভোটের দিন অন্যস্থানে থাকেন, অনেকেই কারাগারে থাকেন সকলের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কেননা নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিতে আমাদের সংবিধান তা স্পষ্টভাবে বলা আছে। যদি রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত এবং সরকারের সদিচ্ছা থাকে তাহলে সবকিছু সম্ভব। রাজনৈতিক ঐক্যমত না থাকলে আপনি যতই আইন করুন কোনো লাভ হবে না। আইন তো ছিলই কিন্তু বিগত আওয়ামী সরকার কোন কিছুই মানেন নাই, যার কারণে দেশের মধ্যে এত অস্থিতিশীলতা হয়েছে। যা আমরা ২০২৪ সালে প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
শক্তিশালী নির্বাচন ব্যবস্থা গ্রহনে আপনার পদক্ষেপ কি কি থাকবে?
বডিউল আলম মজুমদারঃ আমাদের কাজই তো আইনকানুন গুলো সংশোধন করার বিষয়ে সঠিক পরামর্শ প্রদান করা। যেখানে যেখানে আইনের ফাঁকফুকর রয়েছে সেইগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। যদিও আগে থেকে নির্বাচন কমিশনকে একটি সাংবিধানিক স্বাধীন কমিশন হিসেবে ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছে, কিন্তু দুর্নীতি পরায়ন ও ব্যাক্তিস্বার্থে, আনুগত্যের কারণে কেউ মানেননি। আইনের ফাঁকফুকরসহ অনেকগুলো বিষয়ে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। ভবিষ্যৎতে যেন শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়, জনগনের আস্থা ফিরে আসে, একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন গ্রহন এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকে। তবে আমি মনে করি, আইন লংঘনকারীকে যদি শাস্তির আওতায় আনা হয় তাহলে অনেক কিছু পরিবর্তন আসবে যেটা বিগত সময়ে হয় নাই। আইনি কাঠামো শক্তিশালী করার ব্যাপারে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংশোধনের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?
বডিউল আলম মজুমদারঃ হ্যা অবশ্যই, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন-২০২২ সম্পুর্ণ ত্রুটিপুর্ণ, যেটা তৎকালীন আওয়ামী সরকার তাদের সুবিধা মত করে আইনটি পাশ করেছে, যেখানে দায়মুক্তি দিয়েছে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। বিগত সরকারের আমলে যতগুলো কমিশন নিয়োগ হয়েছে সবগুলোই ত্রুটিপুর্ণ নিয়োগ ছিল। পক্ষপাত দুষ্ট কমিশন হয়েছিল। তাছাড়া লেজুর ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি, রাজনৈতিক দলগুলো বিদেশি শাখা খুবই লজ্জাজনক বিষয়, নির্বাচনী হলফনামা সংশোধনসহ যেখানে যেখানে আইনি বিষয় গুলোর জটিলতা রয়েছে সেইগুলো স্পষ্ট করার মাধ্যমে আইনি জটিলতা গুলো নিরসনে আমাদের সর্বাত্বক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা আমাদের জায়গায় কোনো রকম ত্রুটি রাখবো না। তবে সেগুলো প্রয়োগ নিশ্চিত করা পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের এবং বর্তমান ও পরবর্তীতে যে সরকার আসবে তাদের। আমি আশা করবো তারা দেশের মঙ্গলের জন্য আইনের ভিতরে থাকবেন।
আমরাও আশা করছি আপনার নেতৃত্বে সঠিকভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার হবে। দেশের সকলের ভোটাধিকার ফিরে আসবে এবং আগামীতে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হবে, সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। ইত্তেফাককে এতক্ষন সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বডিউল আলম মজুমদারঃ জ্বি আপনাকে ধন্যবাদ, আমাদের পরিকল্পনা ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়গুলো দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য।
সূত্রঃ ইত্তেফাক