
বিশেষ প্রতিনিধি:
খুলনার ডুমুরিয়াতে একজন নারী রাজনীতিক শারমিনা জমাদ্দার রুমা, কোন কোন মহলে শারমিনা পারভিন রুমা নামেও পরিচিত। ডুমুরিয়ার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। জানা গেছে, রুমা ভাগ্যবতী এক রাজনীতিক। দুই দফায় ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান। মন্ত্রীর আশীর্বাদে দাপটের সাথে ডুমুরিয়ায় রাজনীতি করে চলেছেন।
ব্যবসায়ী স্বামীর স্ত্রী রুমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, আবার মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। ডুমুরিয়াতে রুমা পরিবার দারুনভবে আলোচিত। পরিবারের মধ্যে সব দলেরই সক্রিয় নেতা আছেন। বিএনপি- আওয়ামী লীগ- জাতীয় পার্টি, জামাত হেফাজত সব রাজনীতিকই আছেন। যে সরকার ক্ষমতায় আসুক, এই পরিবারে কোন সমস্যা নেই৷
এবারের গন- অভ্যুত্থানের পরেও আওয়ামী লীগ নেতা রুমার পরিবার কোন সমস্যা হয় নি। এটা এক অদ্ভুত পরিবার। এদের মধ্যে একমাত্র রুমাই আওয়ামী লীগ করে। প্রাপ্ত সুত্র মতে, ৮০ র দশকে এরশাদ সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী এইচ এম গাফফারের হাত ধরে রুমার পিতা লতিফ জমাদ্দার জাতীয় পার্টিতে নাম লেখান। এই পরিবারে বিএনপি নেতা রুমার আপন ছোট চাচা শাজাহান জমাদ্দার। সদর ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুবারের চেয়ারম্যান মোল্লা আবুল কাশেমের মেয়ে জামাই।
বর্তমানে এই মোল্লা পরিবার ডুমুরিয়াতে সবচেয়ে প্রভাবশালী পরিবার। রুমার আপন মেজো চাচা কাইউম জমাদ্দার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে আলোচিত হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পক্ষে সভা- সমাবেশ করতেছেন।
জনশ্রুতি আছে, এর আগে ডুমুরিয়াতে তিনি জামাতের নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। একাধিক সুত্র বলেছে, স্মার্ট নেত্রী হিসাবে পরিচিত রুমার পরিবার আক্ষরিক অর্থেই সব দল মিলে ভিন্ন পরিবেশের এক রাজনৈতিক মানবিক পরিবার। নিজেদের মধ্যে কোন হানাহানি- কোন্দল কিংবা হামলা- মামলা নেই, তাদের পারিবারিক সম্প্রীতি ডুমুরিয়াতে রীতিমতো টক অব দ্য রাজনীতি