
অনলাইন ডেস্কঃ
ইটালি যাওয়ার পথে লিবিয়ায় জিম্মি অবস্থায় আছেন বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার ২৬ জন। তাদের লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করে পরিবারের কাছে থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে।
জিম্মিদের পরিবার ও স্বজনরা বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তারা বলেন, চক্রের সদস্যরা বাড়িতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে দাবি করছেন। অন্যথায় তাদের হত্যা করে লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার নওদা বন্ডবিল গ্রামের সজিব আহম্মেদকে ইতালি পাঠাবেন বলে তার বাবা শহীদুল ইসলাম ১১ মাস আগে একই উপজেলার বেলগাছী গ্রামের ঠান্টুর ছেলে জীমের নিকট প্রথমে ১০ লাখ টাকা নগদ তুলে দেন। মাস ছয়েক আগে সজিব আহম্মেদ যাত্রা করেন। কিন্তু তার স্বপ্নযাত্রা সফল হয়নি।
ভুক্তভোগী নওদা বন্ডবিল গ্রামের সজিব আহম্মেদের ভাগ্নে হারুন বলেন, আমার মামাকে ইটালি পাঠানোর কথা বলে বেলগাছী গ্রামের ঠান্টুর ছেলে জীম ১০ লাখ টাকা নগদ নিয়েছে। এখন মামাকে মুক্ত করতে চাচ্ছে ১০ লাখ টাকা। চেষ্টা করেও এত টাকা জোগাড় করতে পারছি না।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় ইটালি পাঠানোর কথা বলে সাগর ও জীবনের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে। ভুক্তভোগী কয়েকজন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
ভুক্তভোগীরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী জীম, হাউসপুর গ্রামের মামুনুর রশিদ, খেজুরতলা গ্রামের মিঠুন, তুহিন হক, তিতাস, জুয়েল রানা, হাসিবুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, বকুল হোসেন, নয়ন হক, আবু সাঈদ, জুনায়েদ হাসান প্লাবন, আবু জাফর, সাগর আলী, মিল্টন আলী, মোশারফ আলী, বিপুল হোসেন, নিশান মিয়া, আব্দুল্লাহ জাহিদ, একই উপজেলার পৌর এলাকার গোবিন্দপুর সজিব হোসেন, হৃদয় আহমেদ টিটন, জহুরুলনগরের সবুজ আলী, কাবিলনগর গ্রামের বিপ্লব হোসেন, ঘোলদাড়ি গ্রামের সনজিত কুমার ও কেশবপুর গ্রামের মামুন আলী।