
অনলাইন ডেস্কঃ
পুলিশ নয়, মামলা তদন্তের জন্য স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠন, বিভাগীয় শহরে হাইকোর্ট স্থাপন, দুর্নীতি বন্ধে বিচারকদের সম্পদের নজরদারিসহ কয়েকটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসব প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে। সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিচারপতি নিয়োগে বিশেষ আইন ও আলাদা বিচারিক সচিবালয় গঠনে।
কাজ শুরুর ৪ মাসের মাথায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাব দাখিল করতে যাচ্ছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।
১৭ ভাগে বিভক্ত সুপারিশের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে বিশেষ আইন, যা এরই মধ্যে অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে রূপান্তর করেছে সরকার। এছাড়া, অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরদের স্থায়ী নিয়োগে আইন করা, বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয়, আলাদা বাজেটসহ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
কমিশনের সদস্য মাসদার হোসেন বলেন, ‘বিচার বিভাগকে স্বচ্ছ ও সুন্দর করতে হলে, আজকে আমাদের উচ্চ আদালত নিয়ে জনমনে নিদারুণ অশান্তি এবং প্রশ্ন, সেখানে স্বচ্ছতা, দুর্নীতিমুক্ত দেশ যদি আমরা করতে না পারি এজন্য আমরা আমাদের ১ নম্বর এজেন্ডাই করেছি, সুপ্রিমকোর্টের বিচারক নিয়োগ, শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা ও অপসারণ।’
দুর্নীতি বন্ধে ৩ বছর পরপর বিশেষ কমিটির কাছে বিচারপতিদের সম্পদের হিসাব দেয়া ও তা প্রকাশের প্রস্তাব কমিশনের। বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমাতে বিভাগীয় শহরে হাইকোর্ট এবং উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থাপনের প্রস্তাবও রয়েছে।
মাসদার হোসেন বলেন, ‘উপজেলা কোর্টকে আমরা ডিসেন্ট্রালাইজেশন করে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। আমরা হাইকোর্টকে মানুষের দোরগোড়ায় নিতে চাচ্ছি। একটা এজলাসে দুইজন বিচারক দুইবেলা ওঠে, তাহলে কর্মঘণ্টা কতটুকু ইউটিলাইজ করতে পারল বিচারকের জন্য। এক্ষেত্রে আমরা বলেছি, অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।’
তবে কয়েকটি সুপারিশেষ নিয়ে ভিন্নমত জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, ‘পলিটিক্যাল অ্যাফিলেশন নাই, এমন কিছু তো নাই অর্ডিন্যান্সে। তারপর বয়স দিয়েছে ৪৫, এই বয়সে বেশিরভাগ মানুষই এখানে জজ হতে চাইবে না। কারণ ৪৫ বছরে যদি প্র্যাকটিসের ভালো সুযোগ তৈরি হয় তাহলে কেন জজ হবে?’
কমিশন মনে করে, তাদের বেশিরভাগ সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারই বাস্তবায়ন করতে পারবে।