
অনলাইন ডেস্কঃ
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের হজের জন্য বেশ কিছু শর্ত নির্ধারণ করেছে। এ বছর হজের সুযোগ পেতে মূলত তাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, যারা আগে কখনো হজ পালন করেননি। তবে যেসব ব্যক্তি হজযাত্রীদের গাইড হিসেবে কাজ করবেন, তাদের ক্ষেত্রে এই শর্ত শিথিল থাকবে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, হজযাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা রেসিডেন্সি কার্ডের মেয়াদ জিলহজ মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত বৈধ থাকতে হবে।
হজে অংশ নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের অবশ্যই নির্ভুল তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। যদি কেউ ভুল তথ্য প্রদান করেন, তাহলে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হতে পারে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শারীরিকভাবে সুস্থ ব্যক্তিরাই কেবল হজের সুযোগ পাবেন। যারা জটিল ও মারাত্মক রোগে আক্রান্ত, তারা হজে অংশ নিতে পারবেন না। এ ছাড়া, যাত্রীদের অবশ্যই হজের আগে মেনিনজিটিস ও মৌসুমী ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিতে হবে।
এ বছর হজের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হলে, কোনো ব্যক্তি যদি পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন, তাহলে তার জমাকৃত অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না।
হজযাত্রীদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী পবিত্র স্থানগুলোতে যেতে হবে। তাদের চলাচল, জড়ো হওয়া এবং অবস্থানের ক্ষেত্রে সৌদি নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
যাদের হজের অনুমোদন দেওয়া হবে, তাদের নুসুক অ্যাপ থেকে অনুমোদনের কাগজ প্রিন্ট করতে হবে এবং কাগজে থাকা কিউআর কোড স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান থাকতে হবে। হজের পুরো সময় এই কাগজটি সঙ্গে রাখতে হবে এবং অন্য কারও কাছে দেওয়া যাবে না।
এবারের হজে শিশুদের সঙ্গে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
গত বছর মোট ১৮ লাখ মানুষ হজ পালন করেছিলেন, যার মধ্যে ১৬ লাখ ছিলেন বিদেশি হজযাত্রী এবং সৌদি আরব থেকে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় দুই লাখ মানুষ।