
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ হবার পথে। জানা গেছে, নবগঠিত আহবায়ক কমিটি নিজেরা বসে কেন্দ্রের কাছে বর্তমান কমিটিতে আরও ২৫ জনার নাম দিয়েছেন। নতুন কমিটিতে বিদায়ী আহবায়ক কমিটি, সাত উপজেলার কনভেনর বা সমপর্যায়ের নেতারাও কেউ কেউ থাকছেন।
বিষয়টি স্বীকার করে নতুন কমিটির আহবায়ক, জিয়া পরিবারের আস্থাভাজন, ক্লিন ইমেজের অধিকারী রাহমতুল্লাহ পলাশ অন লাইন নিউজ পোর্টাল প্রথম সময় ডটকমকে বলেছেন, আমরা বর্তমান ৬ সদস্যের আহবায়ক কমিটিকে ৩১ সদস্য করতে আমাদের ২৫ জন নেতার নাম কেন্দ্রে দিয়েছি। খুব শিগগিরই দলের হাইকমান্ডের অনুমোদন পেয়ে যাবো।
এর আগেও একাধিকবার পলাশ জেলা বিএনপির সভাপতি ও আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের মধ্যে তার গ্রহনযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। ৩১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন পেলেই সাতক্ষীরা জেলা বিএনপিকে নতুন করে সাজানো হবে, এমনটি জানিয়েছেন রাহমতুল্লাহ পলাশ।
তবে, প্রস্তাবিত কমিটিতে ২৫ জন কারা কারা আছেন বা থাকছেন, সেটা তিনি বিস্তারিত বলেন নি। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ৬৫ বছরের চির তরুন এই নেতা বলেছেন, বিষয়টি সিক্রেটই থাক। দৃঢ়তার সাথে তিনি বলেছেন, কমিটি ভালো হবে, সবার কাছেই গ্রহনযোগ্যতা পাবে।
সুত্র বলছে, বিএনপির সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা, তালা, কলারোয়া, আশাশুনি, শ্যামনগর, কালিগঞ্জ উপজেলা মিলিয়ে ৭ উপজেলা, সাতক্ষীরা, কলারোয়া ও শ্যমনগর মিলে ৩ পৌরসভা, ৩ পৌরসভায় ৯ টি করে ২৭ টি পৌর ওয়ার্ড কমিটি, আবার ৭৭ টি ইউনিয়ন কমিটি, একইভাবে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ৯ টি করে ৬৯৩ টি ইউনিয়ন কমিটি- সব মিলিয়ে জেলার ৮০৭ টি কমিটি গত ৬ ফেব্রুয়ারি একযোগে বিলুপ্ত করা হয়েছে।
কালিগঞ্জ- আশাশুনি নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা- ৩ আসনে এবার এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশি, প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী এডভোকেট এম মুনসুর আলীর সন্তান রহমতুল্লাহ পলাশ বলেছেন, বিলুপ্তঘোষিত কমিটিগুলো নতুন করে গঠন করে আগামী তিন মাসের মধ্যে জেলা সম্মেলন করা হবে। তিনি এই লক্ষে দলের সবার সহযোগিতা আশা করেছেন। গুলশানের বাসভবনে আলাপকালে এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, সাতক্ষীরা জেলার সর্বত্র দক্ষ, ক্লিন ইমেজের সংগঠক, দলের ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে আনা হবে। কোন মাই ম্যান সিস্টেমে কমিটি বা পকেট কমিটি হবে না বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির নবগঠিত ছয় সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন রাহমাতুল্লাহ পলাশ। সদস্যসচিব হয়েছেন আবু জাহিদ। অন্য দিকে, যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন আবুল হাসান হাদী, তাসকিন আহমেদ চিশতী, মনিরুজ্জামান ও মো. আক্তারুল ইসলাম।
এর আগে ইফতেখার আহমদের নেতৃত্বাধীন জেলা বিএনপির কমিটি তিন মাসের জন্য তৈরি হলেও পাচ বছরেও জেলা সম্মেলন করতে না পারায় দলের হাই কমান্ড সেই কমিটি গত ৬ ফেব্রুয়ারিতে ভেঙে দেয়। জেলা কমিটিসহ সব উপজেলায় কমিটি নিয়ে গ্রুপিং ছিলো ওপেন সিক্রেট। কমিটি করতে গিয়ে একাধিক উপজেলায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা পর্যন্ত হয়েছে।