
অনলাইন ডেস্কঃ
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। সোমবার রাতে ইউনিক রোড রয়েল্স নামে বাসে এ ডাকাতি হয়। পরে বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রামে পৌঁছলে যাত্রীরা সেটি আটকে দেন। এ ঘটনায় বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ বাসচালক রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার শাহমখদুম কলেজ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে বাবলু, সুপারভাইজার একই থানার পূর্ব কাঁঠালিয়া মহল্লার আঙ্গুর মণ্ডলের ছেলে মাহাবুব আলম ও সহকারী সাধুর মোড় এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে সুমন ইসলামকে আটক করে এবং বাসটি থানা হেফাজতে নেয়।
যাত্রীরা জানান, ঢাকার গাবতলী থেকে রাত ১০টার দিকে রাজশাহীর উদ্দেশে রওয়ানা হয় বাসটি। চন্দ্রা থেকে আরও তিনজন যাত্রী বাসে উঠেন। কিছু দূর যাওয়ার পর ৭ থেকে ৮ যাত্রীবেশী ডাকাত সদস্য অস্ত্রের মুখে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বাসটি টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকে। এ সময় অস্ত্রের মুখে প্রায় ৫০ যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, গহনা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। একপর্যায়ে ডাকাতরা দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। এরপর পুনরায় বাসটি চন্দ্রার একটি ফাঁকা এলাকায় রেখে ডাকাতরা নেমে যায়।
বাসের যাত্রী বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকার মজনুর রহমান জানান, ডাকাতির বিষয়টি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় অবগত করা হয়। কিন্তু মির্জাপুর থানা পুলিশ কোনো ভূমিকা না নেওয়ায় বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকার তিনজন যাত্রী স্বজনদের নিয়ে বাসটি আটক করেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, চালক ও সুপারভাইজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ডাকাতির ঘটনা টাঙ্গাইলে হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব টাঙ্গাইল পুলিশের। তারপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।