
অনলাইন ডেস্কঃ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এতে স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার আদমজী ইপিজেডে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আজ আদমজী ইপিজেডের ইউনিভার্সেল নামক একটি গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর এবং রুহুল আমিন নামে বিএনপির এক নেতার সহযোগীদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। তখন রুহুল আমিনের সহযোগীরা ইপিজেডের ভেতরেই সাগরের লোকদের কুপিয়ে জখম করে।
এরই জের ধরে পরে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণসহ ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময়ে তোফাজ্জল হোসেন নামে স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হন। সংঘর্ষের সময় তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
আহত তোফাজ্জল হোসেনের সহকর্মী মোস্তাক শাওন বলেন, ‘তোফাজ্জলের অবস্থা ভালো না। ধারণা করা যাচ্ছে, তার হাত এবং মাজার হাড্ডি ভেঙে গেছে। তাকে নিয়ে খানপুর হাসপাতালে যাচ্ছি আমরা।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা রুহুল আমিন বলেন, ‘ইপিজেডে ব্যবসা করার জন্য আমার লাইসেন্স আছে। সেখানে একটা ফ্যাক্টরিতে আমার দুজন লোক গেলে তারা (সাগরের লোকজন) বাধা দেয়। তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে বাইরে এলে সাগরের লোকজন আমার লোকদের ওপর গুলি করে।’
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, ‘ব্যবসা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে আজ আওয়ামী লীগ নেতা মতির লোক রুহুল, সাজ্জাদ, পাকনা বাবু, রেহান সাহেবের নাতি শাকিলের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এ সময় সাবেক ছাত্রদল নেতা মোহন, মানিকসহ চার-পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তারা আদমজীর পুরান থানার সামনে তিন-চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আমার কয়েকজন লোককে মারধর করে আহত করেন। পাশাপাশি আমার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ে। বর্তমানে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। প্রচুর ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামলানো কঠিন ছিল। আমাদের ফোর্স এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সামলানো গিয়েছে।’ কাউকে আটক করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই পরিস্থিতিতে কাউকে আটক করা সম্ভব ছিল না।’