
অনলাইন ডেস্কঃ
অন্যান্য পণ্যে কিছুটা স্বস্তি এলেও এবার রমজানে রেকর্ড ভেঙেছে চালের দাম। মানভেদে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। বন্যায় আমনের উৎপাদন কমে যাওয়া ও চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত আমদানিকে এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা। অন্যদিকে দাম বাড়ার পেছনে মিলারদের কারসাজি রয়েছে বলে দাবি করছেন বিক্রেতারা।
সাধারণত রমজানে অন্যান্য পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তি থাকলেও স্থিতিশীল থাকে চালের বাজার। কিন্তু এবার উল্টো। মাসের শুরু থেকেই হঠাৎই উল্লম্ফ গতিতে বাড়তে থাকে চালের দাম। মানভেদে কেজিপ্রতি ১ থেকে ২ টাকা করে বাড়তে বাড়তে তা ঠেকেছে ৫ থেকে ১০ টাকায়।
সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৫ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া মাঝারি ও চিকন চাল যথাক্রমে ৬৫ ও ৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চালের এমন দামে ক্রেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও বিক্রেতাদের ভাষ্য, এই সংকটের পেছনে দায়ী মিল মালিকরা। নানা অজুহাতে বস্তায় দেড়শ’ থেকে দুইশ’ টাকা বাড়িয়েছেন তারা। মিল মালিকরা ধানের দাম বেশি কিংবা ধান পাওয়া যাচ্ছে না এমন অজুহাত দিলেও আসলে প্রকৃত বিষয় খুঁজে বের করতে সরকারের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা উচিত বলেও মনে করেন তারা।
তবে কৃষি অর্থনীতিবিদরা বন্যায় আমনের উৎপাদন কমে যাওয়া ও চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত আমদানিকে চালের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দায়ী করছেন। কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা সাধারণত কারসাজি করে, শহরে যারা চাল সরবরাহ করে তারাও কারসাজি করে এবং এর মাধ্যমে চালের দাম বাড়ছে।