
অনলাইন ডেস্কঃ
আস্ন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৯ দিন বন্ধ থাকবে। এ কারণে লেনদেন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দেশের জ্বালানি তেলের পরিবেশকরা। এরি মধ্যে পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য ডিপো সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ ব্যাকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। একই সঙ্গে ডিপো থেকে তেল উত্তোলনের সুবিধার্থে ২৯ মার্চ, ৩ ও ৫ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট এলাকার কিছু ব্যাংক শাখা খোলা রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি।
জ্বালানি বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘জ্বালানি তেল সরবরাহ অগ্রাধিকার বিবেচনায় ডিলারদের জ্বালানি তেল কেনা ও ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহ অব্যাহত রাখতে ঈদুল ফিতরের ছুটির মধ্যে ডিপো সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৩০ মার্চ ও ৩ এপ্রিল ব্যাংক শাখা খোলা রাখা প্রয়োজন। এজন্য জ্বালানি বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছে।’
সমিতির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের পরিচালককে চিঠি দিয়ে খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, রংপুর, চাঁদপুর, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জের কয়েকটি ব্যাংক শাখা খোলা রাখার আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ওই তিনদিন ডিপো খোলা রেখেছে, যাতে ঈদযাত্রায় পরিবহনগুলো প্রয়োজনীয় জ্বালানি সংগ্রহ করতে পারে। পাশাপাশি, জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখাও এর উদ্দেশ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু ওইদিনগুলোতে ব্যাংক খোলা নেই। নগদ টাকায় জ্বালানি তেল সংগ্রহ করা সম্ভব না। এজন্য পে-অর্ডার লাগে। ব্যাংক খোলা না থাকলে পে-অর্ডার সংগ্রহ করা যাবে না। ফলে জ্বালানি তেলও সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য ডিপো সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখা খোলা রাখা জরুরি।’
সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
শিল্পঘন এলাকায় ২৮ ও ২৯ মার্চ কিছু ব্যাংকের শাখা খোলা রাখতে বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। পোশাক খাতের কর্মীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার সুবিধার্থে এ দুদিন ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় তফশিলি ব্যাংকের সব শাখা ও উপ-শাখা এদিন বন্ধ থাকবে।