
অনলাইন ডেস্কঃ
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পুকুর থেকে জাল ফেলে মাছ ধরে নেয়ার ঘটনায় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আপেল মাহমুদকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি তরুণ হাসান কাজল এবং সাধারণ সম্পাদক সাখায়াত হোসেন শুভর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আপেল মাহমুদ জামালপুর পৌর শাখার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র কোষাধ্যক্ষ। তিনি শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, আপেল মাহমুদ ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়েও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন। শনিবার (২৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি জেলেসহ ১০-১২ জন লোক নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। জামালপুর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই মাছ ধরে নিয়ে যান আপেল মাহমুদ।
জামালপুর সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আশরাফ বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোনে খবর পাওয়ার পর আমরা গিয়ে দেখি মাছ ধরা শেষ। জাল ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা জাল জব্দ করতে গেলে পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে খারাপ আচরণ করেন আপেল মাহমুদ।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান বলেন, ‘তিন মাস আগে আমরা পুকুরে নতুন করে মাছ ছেড়ে ছিলাম। মাছ তেমন একটা বড়ও হয়নি। হঠাৎ সকালে অফিস থেকে জানায়, পুকুরে আপেল নামের ওই ব্যক্তি জাল ফেলে মাছ ধরছেন। পরে আমার কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন পুকুর পাড়ে যান। কিন্তু এর আগেই তারা মাছ ধরে নিয়ে যান। তখন পুকুর পাড়ে ওই নেতা ও তার লোকজন ছিল। তখন ওই নেতা আমার কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে নানাভাবে হুমকিও দিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর পুকুরে মাছ ছাড়ার ব্যাপারে তিনি এসেছিলেন। তখন তিনি বলেছেন, ১৪ বছর অমুকরা খাইছে। এখন তিনি পুকুরে মাছ ছাড়বেন। তখন আমি কোনো অনুমতি দিইনি।’
এ ঘটনায় জামালপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান।
উল্লেখ্য, আপেল মাহমুদ এর আগে শাওন মোল্লা নামে এক সাংবাদিককে মারধরের হুমকি দেন।