
অনলাইন ডেস্কঃ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছেন। নতুন মন্ত্রিসভায় ২৩ জনকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শনিবার তিনি শারা এই মন্ত্রিসভা ঘোষণা করলেও কুর্দিরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। খবর আল আরাবিয়ার।
রোববার (৩০ মার্চ) উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় কুর্দি নেতারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “যেকোনো সরকার যে দেশের বৈচিত্র্য এবং বহুত্বকে প্রতিফলিত করে না, তারা সিরিয়ার সঠিক শাসন নিশ্চিত করতে পারে না। ফলে আমরা এই সরকারের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন বা প্রয়োগে নিজেদের আবদ্ধ মনে করি না।”
এর আগে গত ডিসেম্বরে স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতন হলে জানুয়ারি মাসে সংবিধান স্থগিত করে আহমেদ আল-শারাকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করতে চাপ দিয়ে আসছিল পশ্চিমা ও আরব দেশগুলো।
গত মাসে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় কয়েকটি শহরে শিয়াপন্থি আলাউইত সম্প্রদায়ের কয়েক শ মানুষকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর সরকার গঠনের চাপ আরও বেড়ে যায়।
নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় আসাদের সম্প্রদায় থেকেও মন্ত্রী করা হয়েছে। এতে পরিবহনমন্ত্রী করা হয়েছে আলাউইত সম্প্রদায়ের ইয়ারুব বাদরকে। অপরদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে দ্রুজ সম্প্রদায়ের আমজাদ বদরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী নারী ও বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরোধী নারীনেত্রী হিন্দ কাবাওয়াতকে সমাজকল্যাণ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মোহাম্মেদ ইয়সর বারনিহকে অর্থমন্ত্রী করা হয়েছে। মুরহাফ আবু কাসরা ও আসাদ আল-শিবানিকে যথাক্রমে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আবার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাশার আল-আসাদের পতনের পরপর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তারা। তবে অন্তর্বর্তী সরকারে কাউকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়নি। আল-শারা নির্বাহী দায়িত্ব পালন করবেন।