
অনলাইন ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রে চাল রপ্তানি করা দেশগুলোর ওপর গত বুধবার নতুন শুল্ক ঘোষণা করে। যার কারণে আন্তর্জাতিক চালের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ থাইল্যান্ড ও ভারতের মতো দেশগুলো এই সিদ্ধান্তের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন
৯ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে থাইল্যান্ডের চাল রপ্তানির ওপর অতিরিক্ত ৩৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ শুরু হবে। যুক্তরাষ্ট্র ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সুগন্ধি চাল সরবরাহকারী থাইল্যান্ড গত বছর প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রপ্তানি করেছে। এই শুল্কের কারণে থাইল্যান্ডের চাল রপ্তানি ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা সৃষ্টি হতে পারে।
থাইল্যান্ডের পাশাপাশি, ভারত, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তানও নতুন শুল্কের আওতায় পড়েছে। ভারতের জন্য ২৬ শতাংশ, ভিয়েতনামের জন্য ৪৬ শতাংশ এবং পাকিস্তানের জন্য ২৯ শতাংশ শুল্ক আরপ করা হয়েছে। এই দেশগুলোর চাল রপ্তানি খাতে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ৯ এপ্রিল থেকে আমদানি করা চালের মূল্য গড়ে ৩৩ শতাংশ বাড়তে পারে।
হোয়াইট হাউস চীনের চাল রপ্তানির ওপর ৫৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। যেটি পুয়ের্তো রিকোতে ব্যবহৃত হয় এবং সংক্ষিপ্ত ও মাঝারি ধরনের চাল সরবরাহ করে।
যুক্তরাষ্ট্র নিজে প্রায় ৮০ শতাংশ চাল উৎপাদন করে এবং বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চাল রপ্তানির বাজার ছিল মেক্সিকো, কানাডা, জাপান এবং মধ্য আমেরিকার দেশগুলো। তবে মেক্সিকো ও কানাডাকে এই শুল্কের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে, যার ফলে সেখানে প্রভাব কম হতে পারে। অন্যদিকে, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর ওপর ১০ শতাংশ মিনিমাম ট্যারিফ আরোপ করা হয়েছে, যদিও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এই দেশগুলো সম্ভবত প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেবে না।
ইউএসডিএ-এর ২০২৪ সালের মার্চ গ্রেন রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী চালের দাম ১০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে এবং উৎপাদনও রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। তবে নতুন শুল্ক চালের বাজারে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে, যা ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে।