
অনলাইন ডেস্কঃ
চৈত্রের বিদায়লগ্নে দেশের ৫ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ এখনো ৩৬ ডিগ্রির ঘরেই বিরাজ করছে। তবে এই অবস্থার মধ্যেই বৃষ্টির বার্তা নিয়ে দরজায় কড়া নাড়ছে বৈশাখ। এর ফলে বাংলা নতুন বছরের শুরুতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা ৫ দিন বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার (৫ দিন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই সঙ্গে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এই অবস্থায় সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তবে এই সময়ে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ফেনী, বান্দরবান ও বাগেরহাট জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি এদিন রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরদিন মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়েও সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আর এই সময়েও সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এছাড়া আগামী শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি এই সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারীর রাজারহাট ও রংপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে দিনাজপুরে ৩০ মিলিমিটার ছাড়াও সিলেটে ২৭, তেঁতুলিয়ায় ২৫, নীলফামারীর ডিমলায় ২১, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও চট্টগ্রামে ১৫, সৈয়দপুরে ১৪, নওগাঁর বাদলগাছীতে ৯ মিলিমিটারসহ নরসিংদী ও বগুড়ায় সামান্য বৃষ্টি ঝরেছে। এই অবস্থায় বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।