
অনলাইন ডেস্কঃ
সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদী ও বয়েসিং চ্যানেলে দিয়ে চোরাচালানের বেশ বড় একটা চক্র সক্রিয় ছিল। এটা প্রতিরোধ করার জন্য বয়েসিং খালের মুখে আরো ১টি ভাসমান বিওপি স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আজ এই বিওপিটি উদ্বোধনের মাধ্যমে ভাসমান বিওপি তার কার্যক্রম শুরু করলো। এই বিওপির মাধ্যমে সুন্দরবনে চোরাচালান প্রতিরোধসহ সব ধরনের অপরাধ দমন আরও সুন্দর ও সহজতর হবে বলে আশা রাখি।
সাম্প্রতিককালে সীমান্ত দিয়ে পুশইনের ব্যাপারে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মূলত: সিলেটের বিয়ানীবাজার, শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ, কুড়িগ্রামের রৌমারীর প্রত্যন্ত চর এলাকা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনবসতিহীন এলাকা দিয়ে পুশইনের ঘটনা ঘটেছে। পাশ্ববর্তী দেশ থেকে প্রতিনিয়তই নিয়ম বহির্ভূতভাবে পুশইনের ঘটনা ঘটছে, আজকে সকালেও কিছু পুশ ইন হয়েছে। আমাদের সীমান্তটা এতো বিস্তৃত যে প্রতিটি জায়গায় গার্ড করা সম্ভব না। তারপরেও বিজিবি সদস্যরা যথাসাধ্য প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী সাধারণ জনগণ, আনসার ও পুলিশ সদস্যরাও পুশইন রোধে বিজিবিকে সহায়তা করছে। আমরা বলেছি, যদি কোনো বাংলাদেশী নাগরিক ভারতে থেকে থাকে তবে নিয়ম মাফিকভাবে হস্তান্তর-গ্রহণের মাধ্যমে ফেরত প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিঠি লেখা হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকেও সার্বিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ফ্ল্যাগ মিটিং ও প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করেছি। সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার, টহল তৎপরতা ও জনবল বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সচেতন করার পাশাপাশি বিজিবিকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য বলা হয়েছে।
ভাসমান বিওপি উদ্বোধন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে সাতক্ষীরার শ্যামনগরস্থ বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে একটি গাছের চারা রোপন করেন এবং কর্মরত বিজিবি সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এসময় বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিজিবির যশোর রিজিয়ন কমান্ডার, খুলনা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, আরবিজি কোম্পানীর অধিনায়ক, বিজিবির অন্যান্য পদবীর কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে তিনি নীলডুমুর ত্যাগ করেন।