
স্পোর্টস ডেস্কঃ
হামজা, জামাল ও শমিত সোমদের ঘিরে সেই দুপুর থেকেই ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে ছিল বাড়তি উচ্ছ্বাস। যেন তর সইছিল না, কখন শুরু হবে সেই কাঙ্ক্ষিত ম্যাচটি। ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ধরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মাঠে ঢোকার অপেক্ষা—দর্শকদের সে দৃশ্য চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। তার ওপর হঠাৎ বৃষ্টি, তবু স্টেডিয়ামের গেটের বাইরে ভিজে ভিজে ঢুকে পড়ার আনন্দ—অপরিসীম। এতেই যেন পূর্ণতা পেল দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রাপ্তি।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেল পাঁচটার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় জাতীয় স্টেডিয়াম। চারদিকে শুধুই ‘বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!’ স্লোগান। ফুটবলের নবজাগরণকে ঘিরে তৈরি হওয়া প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন যেন এক স্বপ্নজাগানিয়া আবহ তৈরি করে। গ্যালারিজুড়ে বাংলাদেশ দলের জার্সি পরিহিত দর্শকরা দলবেঁধে এসেছেন খেলা দেখতে। কারও হাতে জাতীয় পতাকা, কারও হাতে রঙিন ব্যানার—যাতে লেখা, ‘হামজা-শোমিত-ফাহমিদুলের ঠিকানা; পদ্মা মেঘনা যমুনা’ কিংবা ‘কোটি মানুষের প্রাণের সুর; বাংলার ফুটবল ফিরে আসুক’।
বিকেল পাঁচটার পর বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর দলের টিম বাস প্রবেশ করে স্টেডিয়ামে। তারপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ—রেফারির বাঁশির শব্দের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বহুল প্রত্যাশিত ম্যাচ। মাঠে, গ্যালারিতে আর টিভির পর্দায়—সবার চোখে মুখে তখন একটাই ভাষা: ফুটবল ফিরে আসুক বাংলার প্রাণে।
এদিকে, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে শমিত সোমের অভিষেক হয়েছে। শুরুর একাদশে আছেন- রাকিব হোসেন, ফাহামিদুল ইসলাম, সৈয়দ শাহ কাজেম, মো. হৃদয়, হামজা চৌধুরী, সাদ উদ্দিন, তপু বর্মণ, তারিক কাজী, শাকিল আহাদ তপু ও মিতুল মার্মা। তবে শুরুর একাদশে নেই জামাল ভূঁইয়া।
উল্লেখ্য, এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি জিতলে গ্রুপসেরা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে জামালদের। এই গ্রুপের শীর্ষ দল সরাসরি খেলবে এএফসি এশিয়ান কাপে। সে জন্য আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।