
অনলাইন ডেস্কঃ
২০২১ সালে প্রণীত ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম-প্রাথমিক স্তর’ পরিমার্জন করা হয়েছে। এতে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায়। সম্প্রতি প্রাথমিকের পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও জীবনদর্শনের প্রতিফলনে নতুন দিকে উন্মোচনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ (প্রাথমিক স্তর) পর্যালোচনা করে পরিমার্জন করা হয়েছে।
পরিমার্জিত এ শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিখনের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিখন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিশু শিক্ষার্থীদের কৌতূহলী ও অনুসন্ধিৎসু করে তোলা হবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন উত্থাপন ও সমস্যা সমাধানের সুযোগ করে দিয়ে; সর্বোপরি কল্পনা ও উদ্ভাবনী চিন্তনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে উচ্চতর দক্ষতা অর্জনে ব্রতী করে তুলতে শিক্ষাক্রমে প্রয়োজনীয় সুযোগ রাখা হয়েছে।
মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের বিষয়ে এনসিটিবি জানায়, মূল্যায়ন কৌশলে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে। আর তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ধারাবাহিক মূল্যায়নের সঙ্গে সামষ্টিক মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীর শিখন অভিজ্ঞতা আনন্দময় ও সহজ করার লক্ষ্যে শিখন-শেখানো কার্যাবলি, মূল্যায়ন ও বিষয়বস্তু নির্বাচনেও বিশেষ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
জানা যায়, জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমটি অনুমোদন করা হয়। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১ : প্রাথমিক স্তর (পরিমার্জিত ২০২৫)’।
শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, শিখন বিশেষজ্ঞ, বিষয় বিশেষজ্ঞ, শ্রেণি শিক্ষক এবং অন্যান্য সুধীজনের কাছ থেকে যৌক্তিক পরামর্শ ও নির্দেশনা পেলে তা শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের পরবর্তী ধাপে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট কমট্টকতট্টারা।