
অনলাইন ডেস্কঃ
আহমেদাবাদের মেঘানিনগরে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সকাল নয়টার দিকেঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মোদি।
মোদির সাথে ছিলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিঞ্জরাপু, এই দফতরের প্রতিমন্ত্রী মুরলীধর মহল, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী উপেন্দ্র প্যাটেল, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি, আমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক প্রমুখ।
এরপর সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী চলে যান আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে।
এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুর্ঘটনাগগ্রস্ত ওই বিমানটিতে আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী রমেশ বিশ্ব কুমারসহ অন্য আহত চিকিৎসক ও স্থানীয় ব্যক্তিরা। আহতদের সাথে কথা বলে তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে খোঁজখবর নেন মোদি।
আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন ‘বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী রমেশ বিশ্বকুমার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। তিনি তার ভাই অজয় কুমার রাকেশের সাথে যুক্তরাজ্যে ফিরে যাচ্ছিলেন।
তিনি বিমানের ১১এ আসনে বসেছিলেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন। ‘
অন্যদিকে রমেশ জানান ‘টেক অফের মাত্র ৩০ সেকেন্ড পর হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয় এবং এরপর সেটি ভেঙে পড়ে। ‘ বৃহস্পতিবারই হাসপাতালে গিয়ে তাকে দেখে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদের মেঘানিনগর এলাকায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের দিকে উড়ে যাচ্ছিল ওই বিমানটি। এদিন দুপুরে ২৩ নম্বর রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানটি বিমানবন্দরের কাছেই বাইরামজি জিজিভয় (বি.জে) মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে ভেঙে পড়ার আগে মাটি থেকে দুইটি জেট ইঞ্জিন বিশিষ্ট ওই বিমানটি ৬২৫ ফুট উঁচুতে ছিল বলে জানা যায়।
বিমানবন্দরের ভিতরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে বিমানবন্দর থেকে উন্নয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি বাম দিকে হেলে পড়তে থাকে। একইসঙ্গে ওপরে ওঠার পরিবর্তে লেজের অংশটি নিচের দিকে নামতে নামতে হঠাৎ মাটিতে ভেঙে পড়ে।
বিবামবন্দার থেকে টেকঅফ’এর পরেই বিমানের পাইলট ‘মে-ডে কল’ (বিপদ সংকেত) পাঠান ‘এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল’ (এটিসি)-তে। এরপর এটিসি থেকে বিমানটির সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায় নি। তারই কয়েক সেকেন্ড পরে বিমানবন্দরের খুব কাছেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বি.জে হাসপাতালের ভবনে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই বিমানটিতে বিমানকর্মী এবং যাত্রী মিলিয়ে ২৪২ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ২ জন পাইলট ও ১০ কেবিন ক্রু সদস্য। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিকের ছাড়াও ৬১ জন বিদেশি নাগরিক ছিলেন; এদের মধ্যে ৫৩ ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগাল এবং কানাডার ১ জন নাগরিক ছিলেন।