
অনলাইন ডেস্কঃ
মাদকদ্রব্যের বিস্তার ঠেকাতে মাঠে নেমে নিজেদের ওপরই নিয়ন্ত্রণ হারান তারা, যাদের দায়িত্ব ছিল মাদক পাচার-কারবার ঠেকানো, সেই কর্মকর্তারাই জড়িয়ে পড়েন ঘুষ, চাঁদাবাজি, স্বর্ণ ছিনতাই ও চেক লুটের মতো অপরাধে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অন্তত ১০ কর্মকর্তা গত জুলাইয়ে বরখাস্ত হয়েছেন এসব গুরুতর অভিযোগে। কেউ নিয়েছেন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ব্যাংক চেক, কেউ বা সাজানো অভিযানে গিয়ে তুলে এনেছেন লাখ টাকা। এক কাউন্সিলরের কাছ থেকে তেল খরচ নেওয়ার পরও তার বাসায় লুটপাটে অংশ নিয়েছেন কয়েক কর্মকর্তা। এমনকি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অপরাধে সম্পৃক্ততাও। কেমিক্যাল (রাসায়নিক) ব্যবহারের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘুষ গ্রহণের ঘটনাও ঘটেছে।
এমন সব অপরাধে গত এক মাসেই ১০ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত ছাড়াও ঘুষ গ্রহণের দায়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক সহকারী পরিচালককে পাঠানো হয়েছে বাধ্যতামূলক অবসরে। এ ছাড়া একজনের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ এবং আরও এক সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বিগত সময়ে এ ধরনের অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তেমন একটা আমলে নেওয়া হতো না। তবে মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে মো. হাসান মারুফ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নিজেদের অপরাধে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীল) নীতিতে চলছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে আরও বেশকিছু অভিযোগ নিয়ে কাজ করছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীলরা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হবে চাকরিচ্যুতি কিংবা বরখাস্তের মতো ব্যবস্থা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশজুড়ে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ঠেকাতে কাজ করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সংস্থাটি মাদকের সরবরাহ হ্রাস, চাহিদা নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষতি হ্রাস–এই তিনটি কৌশলগত স্তরে অভিযান চালায়। দেশে অবৈধ মাদকের প্রবাহ রোধ, ওষুধ ও অন্যান্য শিল্পে ব্যবহার্য বৈধ মাদকের শুল্ক আদায়সাপেক্ষে আমদানি, পরিবহন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, মাদকদ্রব্যের সঠিক পরীক্ষণ, মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিতকরণ, মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিরোধ কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন এবং জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে নিবিড় কর্ম-সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সংস্থাটির অন্যতম প্রধান কাজ। এ ছাড়াও নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান, গণসচেতনতামূলক কর্মসূচি এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে সংস্থাটি। পাশাপাশি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমে প্রচার চালিয়ে তরুণদের সচেতন করে। সরকারের এই কার্যক্রমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা সহায়তা করছে।
জানা গেছে, দেশে মাদকের প্রবাহ রোধে কাজ করা সংস্থাটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রায় সময়েই বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে এর আগে বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হলেও বেশিরভাগ সময়েই সেই কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখত না।
ঘুষ নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে সহকারী পরিচালক: ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৪ জুলাই বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বাবুল সরকারকে (পরিচিতি নং-১৩০৭২)। এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাবুল সরকার গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি স্বপ্রণোদিতভাবে মাল্টিফ্যাবস লি. নয়াপাড়া, কাশিমপুর, গাজীপুর নামীয় গার্মেন্টস পরিদর্শন করেন। প্রতিষ্ঠানটি অননুমোদিতভাবে অবৈধভাবে এসিটোন ব্যবহারের প্রমাণ পেলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। পরে সমঝোতার মাধ্যমে আরও ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও বাবুল সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে প্রিকারসর কেমিক্যাল ব্যবহারের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আরও ১৫-১৬ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর প্রতিষ্ঠানটির দাখিলকৃত আবেদনপত্র অফিসের বাইরে একটি রেস্টুরেন্টে বসে গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও গাজীপুরে কর্মরত থাকাকালে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর নিট কম্পোজিট নামীয় কারখানায় গমন করে কারখানা কর্তৃপক্ষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি এবং পরবর্তীতে প্রিকারসর কেমিক্যাল ব্যবহারের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আরও ৬ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণের প্রাথমিক প্রমাণ পায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এরপরেও জাকির হোসেন নামে একজনকে আরও ১ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে চাপ প্রয়োগ করেন।’
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাবুল সরকার বিভিন্ন কর্মস্থলে নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করে আর্থিক দুর্নীতি ও সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অসদাচরণসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন, যার দরুন ২০১৭ সালে চাকরিতে যোগদান করলেও এখন পর্যন্ত তার চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি এবং এরই মধ্যে দুটি বিভাগীয় মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। তৎসত্ত্বেও আচরণে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন না হওয়ায় বাবুল সরকারকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়।’
ব্যাংক চেক নিয়ে চাকরিচ্যুত ৫ জন: গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযানে গিয়ে ইয়াবাসহ এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তারের পর তার বাসায় গিয়ে ব্যাংক চেক নিয়ে চাকরি হারিয়েছেন সংস্থাটির ৫ কর্মকর্তা। এ ছাড়াও অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সহকারী পরিচালক মারফিয়া আফরোজের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বরখাস্ত হওয়া ৫ কর্মকর্তা হলেন- পরিদর্শক শাহরিয়া শারমিন, উপপরিদর্শক আবদুল আল মামুন ও মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী উপপরিদর্শক মো. আতাউল হক ও সিপাহি সোহেল রানা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুন গাজীপুরের টঙ্গী সরকারি কলেজের সামনে থেকে ইয়াবাসহ মো. রমিজ উদ্দিন নামে এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এরপর রমিজকে নিয়ে টঙ্গীর দক্ষিণ খাঁপাড়ায় তার ভাড়া বাসায় যান কর্মকর্তারা। বাসায় তল্লাশি করে দুটি পলিব্যাগে ১৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। রমিজের পরিবারের অভিযোগ, এ সময় বাসা থেকে মোটা অঙ্কের টাকার একটি ব্যাংক চেক নিয়ে আসেন কর্মকর্তারা। তবে এজাহারে জব্দ তালিকায় একটি পলিব্যাগের মধ্যে ৫ হাজার ইয়াবা ও আরেকটি পলিব্যাগে ১০ হাজার ইয়াবার কথা উল্লেখ করা হলেও দেখানো হয়নি ব্যাংক চেকটি। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ে ইনক্রিমেন্ট বন্ধ: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে অভিযানে অংশগ্রহণসহ স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের দায়ে সংস্থাটির পটুয়াখালীতে কর্মরত সিপাহি মো. সোহেল রানার বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, সিপাহি মো. সোহেল রানার (পরিচিতি নং-৪৯০৭৩৪) বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে অভিযানে অংশগ্রহণসহ অভিযানে স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অনিয়ম সংগঠনের অভিযোগে উত্থাপিত হয়েছে। চিঠি থেকে জানা গেছে, আল আরাফাত নামে এক ব্যক্তি তার নিজ বাড়ি থেকে ব্যবসায়িক কাজে অপূর্ব জুয়েলার্স, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জকে ১১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের বার এবং ঐশী জুয়েলার্স, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জকে ১০ দশমিক ৪ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের বার দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এরপর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিরাজগঞ্জ রোডে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চেকপোস্টের কাছে এলে রেইডিং টিমের সদস্যরা তার গাড়িটি তল্লাশি করে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে দুটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। তবে তার কাছ থেকে মাদক জাতীয় কোনো কিছু উদ্ধার হয়নি। ওই ব্যক্তি তার বাবা একজন বৈধ জুয়েলার্স ব্যবসায়ী জানানো সত্ত্বেও সোহেল রানা তার কথায় কর্ণপাত না করে তাকে নানা প্রকার মামলার হুমকি দিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২১ দশমিক ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণের বার দুটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া এবং শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদক কারবারিদের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে মাসোহারা আদায় করার অভিযোগ পায়। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোহেল রানাকে একটি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) এক বছরের জন্য স্থগিত দণ্ড প্রদান করা হয়।
কাউন্সিলরের কাছ থেকে তেল খরচ নিয়ে বরখাস্ত ৪ কর্মকর্তা: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ছালেহা বেগমের বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদক না পেয়ে তেল খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা গ্রহণ এবং পরে আলমারি ভেঙে আরও ৮ লাখ টাকারও বেশি আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ৪ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রথম দফায় ৭ জুলাই বরখাস্ত ৩ কর্মকর্তা হলেন টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম এবং সহকারী উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান ও জিয়াউর রহমান। এ ছাড়াও গত ৯ জুলাই বরখাস্ত হন সহকারী উপপরিদর্শক শামীম আল আজাদ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া ছালেহা বেগমের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ‘গত ১৮ জুন সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রথমে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে তাদের গাড়ির তেল খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করে। তখন তাদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে তারা বাকি ১০ হাজার ঢাকা পাঠিয়ে দিতে বলে চলে যান। কিছুক্ষণ পরে তারা পুনরায় ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র এলোমেলো করতে থাকেন। পরে প্রায় ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ‘অভিযান চালিয়ে’ ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখানো হয়। একপর্যায়ে তারা ঘরের আলমারির তালা খুলে সেখানে থাকা ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা নেন। ছালেহা বেগমের ছেলের ঘরে প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো করে ও আলমারিতে থাকা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেন।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নীতিগতভাবে সৎ হতে হবে। কেউ অনৈতিক কোনো কাজে জড়ালে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নাই। এ ক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি। কেউ অপরাধে জড়ালে সে যেই হোক, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
সূত্রঃ কালবেলা