
বিনোদন ডেস্কঃ
অভিনেতা সমু চৌধুরী গাছের নিচে গামছা পরে শুয়ে রয়েছেন। এমন কয়েকটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর অভিনয়শিল্পী সংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমু চৌধুরী মানসিকভাবে অসুস্থতার কারণে এর আগেও এমন ঘর ছেড়েছিলেন। তাকে নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু সমু চৌধুরী নিজেই বলছেন, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ নন। গামছা পরে শুয়ে থাকার ব্যাখ্যাও দিলেন এই অভিনেতা। সমু চৌধুরী বলেন, এটা খুবই লজ্জাজনক। আমি ভোরবেলা নামাজ পড়ে, নদীতে গোসল করে এখানে ঘুমিয়েছিলাম।
আমি এক কাপড়েই এসেছিলাম। যশোরে ছিলাম, যশোর থেকে ফিরে আসার পরেই হঠাৎ করে ছোট ভাইরা বলছিল, মিশকিন শাহে যাবেন নাকি। আমি বললাম, কোথায়? পরে মনে পড়লো। আমি তাদের বললাম, সেখানে তো আমি গিয়েছিলাম।
তারপর আমি তাদের সঙ্গে আসছি।
খুব স্বাভাবিক কণ্ঠে এই অভিনেতা বললেন, সারাদিন আড্ডা মেরেছি, এখানকার যে কুতুবরা আছেন, যারা খাদেম আছেন, যারা পাগল আছেন, কথা বলছি, আড্ডা দিয়েছি। আমার জীবনের সঙ্গে, তাদের জীবনের মিল খুঁজছি, নাটক খুঁজছি। আমি বুঝলাম না এতে তোদের কী? তিনি বলেন, তোরা আউলিয়া বুঝিস না, পাগল বুঝিস না, একটা ছবি তুলে দিয়ে দিলি, এটা তো ভাইরাল হয়ে গেছে।
ছবিটা দেখে ভক্ত, কাছের মানুষ বন্ধুরা আঘাত পেয়েছেন জানিয়ে সমু চৌধুরী বলেন, আমার বন্ধুরা যারা দেখেছে, ফোন করে বলেছে কি রে! সমু শুয়ে রয়েছে এটা তো তাদের কলিজায় লেগে যায়।
কেউ গাড়ি পাঠায়ে দিচ্ছে। শিল্পী সংঘ থেকে ফোন দিয়ে বলা হচ্ছে, দাদা তুমি ওখানে থাকো। শান্তি দি আমাকে ফোন দিয়ে বলছে, তুমি ওখানে থাকো; আমি গাড়ি পাঠায়ে দিচ্ছি। তুমি ওখান থেকে নড়বা না, আমি বললাম তোরা কী শুরু করেছিস? আমার স্বাধীনতা নাই? আমার বয়স ৬১। আমার বাবা, ভাই, বোন কেউ নাই, আমার একমাত্র মা আছে।
সমু চৌধুরী নিজের কাজের ফিরিস্তি প্রসঙ্গে বলেন, আমি যশোর থেকে প্রশু এসেছি। ঈদের আগে কাজ করেছি শিহাব শাহীনের ‘আমি তুমি ও শুধু।’ এখানে জেফার ও প্রীতম হাসান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয় সমু চৌধুরীর। ভিডিওতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের কাছে একটি রাস্তার পাশে গাছের নিচে খালি গায়ে নিঃসঙ্গভাবে শুয়ে আছেন তিনি।
অভিনেতার এ দৃশ্যের ছবি ও ভিডিওগুলো অল্পক্ষণের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে। যা দেখে তার ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা রীতিমত হতবাক হয়ে যান এবং নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ এগিয়ে আসে তাকে উদ্ধারের জন্য।