
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক কর্মীদের মতো বিশ্লেষকদেরও আগ্রহ ছিল। বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে অনেকটাই ঘুচে গেছে বলে মনে করেন জেষ্ঠ্য সাংবাদিক সোহরাব হাসান।
তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র হচ্ছে একসঙ্গে চলা, আমরা যদি একসঙ্গে চলতে চাই তাহলে আলাপ-আলোচনার বিকল্প নেই। সবচেয়ে ভালো হতো যে নির্বাচনের একটি তারিখ বা সময়ক্ষণ ঠিক করতে প্রধান উপদেষ্টাকে লন্ডন পর্যন্ত যেতে না হতো। তারিখ ঘোষণা করার পর নির্বাচনী কাজগুলো এগিয়ে যাবে এবং সংস্কার কাজও এগিয়ে যাবে। কারণ সব সংস্কার সংবিধান বা নির্বাচনের সাথে যুক্ত নয়। অনেকগুলো আছে প্রশাসনিকভাবে করা যাবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনের মতে, আগামীতে স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য এমন একটি উদ্যোগের অপেক্ষায় ছিল সাধারণ মানুষ।
তিনি আরও বলেছেন, সাধারণ জনগণের আশা পূরণ করার বৈঠক বলে আমি মনে করি। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সংস্কারের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সবচেয়ে বেশি সমন্বয় করে, তাহলে দেশের মানুষ সবচেয়ে উপকৃত হবে। তখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বিচার ও সংস্কার কাজটি বেশ সহজ হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেহেতু কোনও পক্ষ নয়, তাই বিএনপির পাশাপাশি অন্য দলগুলোকেও আস্থায় নেয়া জরুরি। একটি পক্ষ এখনও সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরাতে ব্যস্ত বলে মনে করেন তারা।
সোহরাব হাসান বলেছেন, সরকারকে নিরপেক্ষভাবে কাজ চালাতে হবে। নির্বাচনের সময় এখন, ভোটের আমানত সরকারের কাছে। সেই জনগণের ভোট জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া সরকারের দায়িত্ব। কোনোভাবেই এই অবস্থা বা মনোভাব সৃষ্টি যেন না হয়, এই সরকার কারও পক্ষে।
অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বললেন, অনেকেই অনেকভাবে বিশ্লেষণ করছে, একটা গ্রুপ অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করছে। এই চেষ্টা কখনোই দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। সেই দূরত্ব যেন সবচেয়ে বেশি কমিয়ে আসে, তা কমিয়ে এলে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে ভালো কিছু হবে। আমরা সাধারণ জনগণ একটা ভালো ফলাফল পাবো এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটা নির্বাচন হবে।
আগামীর নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ না হলে বর্তমান সরকারের অনেক কিছুই প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।