
অনলাইন ডেস্কঃ
বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে দুই দিন। তার মধ্যেই পানিতে ডুবে গেছে শিল্পনগরী খুলনা। দিনভর বৃষ্টিতে গতকাল খুলনার বিভিন্ন এলাকার মূল সড়কসহ অলিগলি ডুবে যায়। এতে স্থবির হয়ে পড়ে নগরী।
চরম ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ। নগরীর রয়েল মোড়, খানজাহান আলী সড়ক, শামসুর রহমান রোড, আহসান আহমেদ রোড, বাইতিপাড়া, বাস্তুহারা, চানমারী, লবণচরা, টুটপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, গোবরচাকা এলাকার মূল সড়কে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। অনেক এলাকায় সড়কের পাশে বাড়িঘর, দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়ে। রাস্তাঘাট তলিয়ে সড়কে চলাচলরত যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে যায়।
নগরীর আহসান আহমেদ রোডে কোচিং সেন্টার, ল চেম্বার, চায়ের দোকান, বেকারি ও ছবি তোলার স্টুডিওর দোকানিদের ভিতরের পানি সেচতে দেখা যায়।
কথা হয় আহসান আহমেদ রোডে চাকরিজীবী কমল সাহার সঙ্গে, বৃষ্টি হলেই এখানে রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। ড্রেনের নোংরা পানি বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢুকে পড়ে। স্কুলফেরত শিক্ষার্থী রাইকা খন্দকার জানায়, জুতা হাতে নিয়ে ময়লা পানি পেরিয়ে বাসায় যেতে হচ্ছে।
রাস্তার এখানে-সেখানে খানাখন্দ। কখন কোন বিপদ ঘটে ভয়ে আছি। তবে বৃষ্টির কারণে গতকাল খুলনা নগরীতে যানবাহনের চাপও ছিল কম। গণপরিবহন, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা কম থাকায় অনেককে বাড়ি ফিরতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
নগরীর মিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা এসএম হুমায়ুন কবির জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে রয়েছে।
সিটি করপোরেশন প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মেলেনি। অভিযোগ রয়েছে, সংস্কারের নামে বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা ড্রেন উঁচু করা হয়েছে। এতে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়।
খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, কেডিএর সড়ক নির্মাণকাজে লবণচরা ও মতিয়াখালী ড্রেনের পানি রূপসা নদীতে নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে রূপসা লবণচরা, মোল্লাপাড়া, মহিবাড়ি খালপাড়, জিন্নাহ পাড়া, দারোগা পাড়াসহ আশপাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, কেসিসির চলমান ড্রেনেজ প্রকল্প শেষ হলে জলাবদ্ধতার সংকট কাটবে।