
অনলাইন ডেস্কঃ
খুলনায় চরমপন্থি নেতা এবং দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাসিমকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ২৫-৩০ জনকে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে থানায় মামলাটি করা হয়। এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন দিঘলিয়া উপজেলার ফরমাইশখানা এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম এবং আল মামুন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে দিঘলিয়া থানার কয়েকজন অফিসার চরমপন্থি নেতা নাসিমের অবস্থান জানতে পেরে উপজেলার ফরমাইশখানার গোলারঘাট এলাকায় অভিযান চালায়। তারা একটি চায়ের দোকান থেকে নাসিমকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের ঘটনাটি জানতে পেরে ৫০-৬০ জন সেখানে উপস্থিত হয়ে পুলিশের কাছ থেকে নাসিমকে ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে নাসিম সেখান সেখান থেকে সটকে পড়ে। পুলিশ তাকে আর গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ ঘটনার পরপর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জানতে চাইলে দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শামিম বলেন, নাসিম এক সময়ে পূর্ব বাংলার সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দু’টি হত্যা মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গেল ৫ আগস্ট পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে দিঘলিয়া থানায় নাশকতা মামলা হয়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের জন্য থানা থেকে কয়েকজন অফিসার উপজেলার গোলাঘাট এলাকায় গেলে, ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে সেনহাটি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই তাইজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নাসিমকে গ্রেপ্তার করতে সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।