
অনলাইন ডেস্কঃ
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেছেন, নতুন কোচ (বগি) পাওয়া সাপেক্ষে আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে যশোর-ঢাকা রুটে আরেকটি ট্রেন চালু করা হবে। শনিবার বিকেলে যশোর রেলওয়ে জংশন পরিদর্শন শেষে বৃহত্তর যশোর জেলা রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। এর আগে কমিটির নেতৃবৃন্দ ছয় দফা দাবি তুলে ধরে মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
যশোর রেলওয়ে জংশনে মতবিনিময়কালে রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, আগামী জানুয়ারি মাস থেকে পর্যায়ক্রমে ২০০টি নতুন কোচ রেলওয়েতে যুক্ত হবে। এই নতুন কোচ আসা শুরু হলে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন রুটে নতুন নতুন রেল চালু করা সম্ভব হবে। নতুন কোচ আসা সাপেক্ষে পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকা-যশোর রুটে নতুন একটি রেল চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, এই ট্রেন চালু হলে যশোরের যাত্রীরা সকালে ঢাকায় যেয়ে আবার রাতে যশোরে ফিরে আসতে পারবেন।
এর আগে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোলগামী রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসে চড়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন শনিবার দুপুরে বেনাপোলে পৌঁছান। বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে একই ট্রেনে চড়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি যশোর রেলওয়ে জংশনে পৌঁছান।
এ সময় যশোর জংশনে অবস্থানরত বৃহত্তর যশোর জেলা রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ সকালে যশোর থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য এবং রাতে ফেরার জন্য একটি ট্রেন চালুর দাবিতে শ্লোগান দেন।
যশোর রেলওয়ে জংশন পরিদর্শন শেষে স্টেশন মাস্টারের কার্যালয়ে তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বৃহত্তর যশোর জেলা রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি’র আহ্বায়ক ও জাতীয় হকি দলের ম্যানেজার কাওসার আলী, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান ভিটু, অ্যাড. আমিনুর রহমান হিরু, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক তানভিরুল ইসলাম সোহান প্রমুখ।
মতবিনিময়ের আগে নেতৃবৃন্দ ছয় দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছে হস্তান্তর করেন।
যশোরে মতবিনিময় শেষে রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন রূপদিয়া, সিংগিয়া ও নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম, অপারেটিভ সুপারেন্টেন্ট আনসার আলী ভূইয়া, প্রধান বাণিজ্যিক ম্যানেজার সুজিত কুমার বিশ্বাস, বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা হাসিনা খাতুন, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা গৌতম কুণ্ডু প্রমুখ।