
অনলাইন ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত যুদ্ধবিরতির পর জটিলতা সত্ত্বেও ইরানের সরকারপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা একে ‘জয়’ হিসেবে উদযাপন করছেন। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ বলেছেন, এই ‘জয়’ প্রমাণ করেছে ইরান ‘যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের শিং ভেঙে দিয়েছে’ এবং পুরো অঞ্চলে ইরানের সক্ষমতা নতুনভাবে দেখিয়েছে।
আঞ্চলিক শক্তিধর দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার ও আইআরজিসির (ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী) সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফের শীর্ষ উপদেষ্টা মেহদি মোহাম্মাদি একে ‘বৃহৎ ও ইতিহাস গড়া বিজয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। এক্স (টুইটার)-এ তিনি লিখেছেন, ‘একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছে।’
এদিকে, ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেউ উৎপাটন করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যে ক্ষমতা ও সক্ষমতা রয়েছে, তা বিবেচনায় নিয়ে বলা যায় পারমাণবিক কর্মসূচি অটল থাকবে এবং কোনোভাবেই থামানো যাবে না।’
গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। এ অবস্থায় ট্রাম্পের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও এর বাস্তবতা ও কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা সন্দিহান। তবে ইরানের শীর্ষ নেতৃত্ব এটিকে একটি প্রতীকী জয় হিসেবে তুলে ধরেছেন, যা দেশের ভেতরে জনমত ও আঞ্চলিক সমর্থন জোরদারে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে ইরানের টেলিভিশনের খবরেও যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কথা বলা হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দেয়ার আগে তেহরান ইসরায়েলে একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে চারজন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।