
অনলাইন ডেস্কঃ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার (৭ জুলাই) প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের চারটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
তবে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বলেছেন, অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলো ডিজিএফআইয়ের, সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হকের নয়।
দুদক কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, ডিজিএফআইয়ের চারটি প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট প্রতিষ্ঠানের নামে না হয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের নামে হওয়ার বিষয়টি করণিক ত্রুটি। এ কারণে এগুলো ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব হিসেবে অবরুদ্ধ হয়েছে। এটি একটি তথ্যসূত্রগত ত্রুটি, যা সংশোধন করা হবে।
দুদক গতকাল আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল, হামিদুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তিনি তার ব্যাংক হিসাবের টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার আদেশ চায় দুদক। শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন ওই চারটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তার তিনটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন সোমবার এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরায় গাজী হাফিজুর রহমানের একটি প্লট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর বাইরে তার তিনটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ হয়েছে।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় বলা হয়, গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর ৩৩টি ব্যাংক হিসাবে ১৪৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া তার স্ত্রী রহিমা আক্তারের ৯টি ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক।
এর বাইরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হযরত আলীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদক আদালতকে লিখিতভাবে বলেছে, তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। শুনানি নিয়ে আদালত তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।