
অনলাইন ডেস্কঃ
খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমাদের কোনো আপস নেই। আমরা নির্বাচন চাই। যেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই সময়টাতেই নির্বাচন চাই। লন্ডন বৈঠকের পর যখন মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে একটা আশার সঞ্চার হয়েছে, ঠিক সেই সময়ই কয়েকটি রাজনৈতিক মহল, কয়েকটি চক্র বাংলাদেশের রাজনীতিকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করার আপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। ওই চক্রান্তকারীরা আবারো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। অকথ্য ভাষায় আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কথা বলছে, স্লোগান দিচ্ছে। জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় দু-একটি ইসলামি দল রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। এখন তারা টার্গেট করেছে বাংলাদেশের মানুষের আশা ও ভরসারস্থল তারেক রহমান ও বিএনপিকে।
বুধবার ( ১৬ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে আগামী ১৮ জুলাই শুক্রবার বিকাল তিনটায় নগরীর শিববাড়ি মোড় জিয়াহল চত্ত্বরে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহিদদের স্মরণে কালো ব্যাচ ধারণ ও মৌন মিছিল সফল করতে মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, পতিত স্বৈরাচার আর কাপুরুষ ষড়যন্ত্রকারীদের মিলিত অপচেষ্টা, সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও আগামীর বাংলাদেশ গড়ার পথে যদি কোনো বাধা হয়ে আসে, তবে তা ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক শক্তির মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে। মহানগর সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় বক্তারা গোপালগঞ্জে এনসিপি’র পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুস্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে এনসিপি’র পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা সেই অপতৎপরতারই বহিঃপ্রকাশ। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে আওয়ামী দোসররা মরণকামড় দিয়ে অন্তর্বরতী সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ফায়দা লুটতে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এসব দুস্কৃতকারীদের কঠোর হস্তে দমন ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। সভা থেকে আগামী ১৮ জুলাই বিকাল ৩টায় মধ্যে শিববাড়ি জিয়াহল চত্ত্বরে নেতাকর্মীদের জমায়েত হতে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানানো হয়। এছাড়া জমায়েত শেষে মৌন মিছিল শুরু করে কেডিএ এভিনিউ হয়ে রয়্যাল চত্ত্বরে গিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভা থেকে প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো হয়। সভা থেকে আগামী ২০ জুলাই শহীদ হাদিস পার্কে বেলা ১১টায় মহানগর কৃষকদল আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসুচির উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, রেহানা ঈসা, এড. শেখ মোহাম্মাদ আলী বাবু, মুর্শিদ কামাল, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, হাবিবুর রহমান বিশ^াস, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, মিজানুর রহমান মিলটন, নাসির উদ্দিন, যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, রবিউল ইসলাম রুবেল, জাসাসের ইঞ্জি. নুর ইসলাম বাচ্চু, এম এ জলিল, স্বেচ্ছাসেবক দলের মিরাজুর রহমান মিরাজ, ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, শ্রমিকদলের মজিবর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি, কৃষকদলের আক্তারুজ্জামান সজিব তালুকদার, আদনান ইসলাম দ্বীপ, মহিলা দলে সৈয়দা নার্গিস আলী, এড. হালিমা আক্তার খানম, ছাত্রদলের তাজিম বিশ^াসসহ বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।