
অনলাইন ডেস্কঃ
ডোপ টেস্ট করাতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন শত শত সেবাপ্রত্যাশী। কোনো হাসপাতালে পরীক্ষা বন্ধ, কোথাও সীমিত পরীক্ষা। আবার যাদের স্থায়ী ঠিকানা ঢাকার বাইরে, তারা ঢাকায় থাকলেও পরীক্ষা করাতে পারছেন না। ভোগান্তি কমাতে ডোপ টেস্টের নির্দেশনা দিয়ে সব সরকারি হাসপাতালে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর আগারগাওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিনের সামনে কাকডাকা ভোরে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে কিছু মানুষ। ডোপ টেস্টের জন্য এসেছেন তারা। এরপর তিন ঘণ্টা কেটে যায়। সকাল সাড়ে ৮ টায় খোলে প্রতিষ্ঠান। তখন সেই লাইন আরও বড় হয়ে গিয়েছে। ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন অনেকেই। এখানে একসময় চার থেকে পাঁচশ মানুষের ডোপ টেস্ট হতো। এখন হয় মাত্র একশ জনের। তবে হতে হবে ঢাকার বাসিন্দা। গত সপ্তাহে এই নিয়ম বেধে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ফলে ডোপ টেস্টের জন্য আসা মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।
চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজন হয় ডোপ টেস্ট। এজন্য ঢাকার বাইরের সরকারি হাসপাতাল ও ঢাকার ৮টি হাসপাতালের তালিকা দেয় বিআরটিএ। তবে দুটি প্রতিষ্ঠানে হয় না ডোপ টেস্ট। একটি প্রতিষ্ঠানে খরচ বেশি আর বাকিগুলোতে টেস্ট হয় সীমিত। ঢাকার বাইরে অনেক জেলাতেও হয় না পরীক্ষা। ফলে বিড়ম্বনায় থাকেন সেবাপ্রত্যাশীরা।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন’র পরিচালক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ডোপ টেস্ট আমাদের প্রতিষ্ঠানের কাজ নয়। এখানে স্পেশাল কিছু টেস্ট করানো হয়। ডোপ টেস্টের কথা বাদ দিলাম, আমাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠান চালানোর মতো জনবলই নেই।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, হাসপাতালের রোগীদের পরীক্ষায় বেশি গুরুত্ব তাদের। চালকদের ডোপ টেস্ট সরিয়ে নিতে বিআরটিএ-কে চিঠি দেবেন তারা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক(হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান জানান, তারা এটি তাদের দায়িত্বের বাইরে গিয়ে করছেন। এটি করতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডোপ টেস্টকে বাইরে কোথাও দিয়ে দেয়া যায় কিনা এ বিষয়ে ভাববেন তারা।
উল্লেখ্য, শরীরে মাদকের উপস্থিতি জানতে করা হয় ডোপ টেস্ট। ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে এই টেস্ট বাধ্যতামূলক। সরকারি হাসপাতাল ছাড়া এই টেস্টের রিপোর্ট গ্রহণ করে না কর্তৃপক্ষ।