
অনলাইন ডেস্কঃ
খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের ধানের শীষের কান্ডারী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, বিএনপি সংখ্যালঘু শব্দে বিশ্বাস করে না। এটি পতিত আওয়ামী লীগের শব্দ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের। আমার শরীরেও যে রক্ত প্রবাহিত হয়, আপনাদের শরীরেও একই রক্ত প্রবাহিত হয়। এটাই আমাদের সবচাইতে বড় পরিচয়। আমরা যে ধর্মেরই হই না কেন, আমরা যে বর্ণেরই হই না কেন-আমরা কেউ সংখ্যালঘু নই। আমরা সবাই সমান, আমরা সবাই এ দেশের মানুষ। আমরা এ দেশের নাগরিক-এটাই আমাদের প্রথম ও বড় পরিচয়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা সবাই বাংলাদেশি, আমরা বাংলাদেশি।
রবিবার (২৭ জুলাই) সোনাডাঙ্গা থানার অর্ন্তগত ১৮ ও ১৯নং ওয়ার্ডে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও সদস্য নবায়ন কর্মসুচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে। ভিজিএফ-ভিজিডি প্রথা বাতিল করে সবার জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও ‘হেলথ কার্ড’ প্রাথা চালু করা হবে, যার মাধ্যমে মানুষ সুলভ মূল্যে পণ্য কেনা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কেউ সংখ্যালঘু নন, আপনারা বাংলাদেশের মানুষ। একজন মুসলমান যেভাবে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন, একজন হিন্দু নাগরিক ঠিক একইভাবে তা ভোগ করবেন। একটি নির্দিষ্ট দল কেবল ভোটের স্বার্থে হিন্দুদের ব্যবহার করে এবং নির্বাচন শেষ হলে তাদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে। আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, পতিত হাসিনা সরকার ভিন্নমতের মানুষদের দমন-পীড়ন করছে। একজন সাধারণ শিক্ষক নিজের ভোট নিজে দেওয়ার কারণে তাকে বিনা অপরাধে জেল খাটতে হয়েছে। বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বলেন, আমরা ক্ষমতায় এলে প্রতিটি পরিবারের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালু করব। যে চাল মানুষ এখন ৬০-৭০ টাকায় কিনছে, সেই চাল তখন ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে ৪০ টাকায় কিনতে পারবে। পাশাপাশি ‘হেলথ কার্ড’ এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে মানুষ ন্যায়বিচার পাবে এবং ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলে সম্মান ও নিরাপত্তা নিয়ে বাঁচতে পারবে।
১৮নং ওয়ার্ড: শেখ আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা বেগম রেহানা ঈসা, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশীদ মিরাজ, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসুদজ্জামান আসাদ, জাকির ইকবাল বাপ্পী, কাদের মল্লিক, শফিকুল ইসলাম নিপুণ, ইব্রাহিম হাওলাদার, খান আব্দুল আলিম , মাসুদ হাওলাদার, আরিফুজ্জামান সোহেল, আকরাম মোল্লা , শিল্পী , হাসনা হেনা, মোঃ জামিল হোসেন, , আতিকুর রহমান , নাসরিন হক শ্রাবণী, কামরুন্নাহার হেনা, দুলু মোল্লা, ছাত্রদলের ইসবুর রহমান ইমুল প্রমুখ। সঞ্চালনার করেন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওহিদুজ্জামান হাওলাদার। উল্লেখ্য ১৮নং ওয়ার্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ সাকিব রায়হানের বাবা আজিজুর রহমানের ফরম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে কর্মসুচির উদ্বোধন করা হয়।
১৯নং ওয়ার্ড: ১৯নং ওয়ার্ডে মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেহেনা ঈসা, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশীদ মিরাজ, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসুদজ্জামান আসাদ, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির ইকবাল বাপ্পী। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ মিজানুর রহমান।