
অনলাইন ডেস্কঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অপহরণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগে এক নারীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে অপহরণের শিকার ব্যক্তির স্ত্রীও রয়েছেন।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে হাসান মোল্লা (৩৪), মীর দেওহাটা গ্রামের মৃত আতোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৫), একই এলাকার রহিম সিকদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৪), কোদালিয়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মো. রানা (২০), বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া গ্রামের মঙ্গল সিকদারের ছেলে আরিফ (৩৩) ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তালচানা গ্রামের আলকেসের মেয়ে আকলিমা বেগম (৪০)।
পুলিশ জানায়, একই ইটভাটায় কাজ করার সময় অপহরণের শিকার আব্দুর রহিমের সঙ্গে গ্রেফতার আকলিমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা বিয়েও করেন। ইটভাটার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আব্দুর রহিম তার নিজ এলাকায় চলে যান। সেখানে তার আরেক স্ত্রী রয়েছে।
৬-৭ মাস ধরে আব্দুর রহিম যোগাযোগ না করায় তাকে শায়েস্তা করার ফন্দি আটেন স্ত্রী আকলিমা। ফোন করে তাকে মির্জাপুরে আসতে বলেন তিনি। আব্দুর রহিম মির্জাপুরে আকলিমার ভাড়া বাসায় আসার পরপরই এ মামলায় পলাতক রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে গ্রেফতার অন্যরা তাকে মারধর করেন। পরে গোড়াই পালপাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে জিম্মি করেন। এরপর স্বজনদের কাছে ফোন করে চার লাখ টাকা দাবি করা হয়।
জিম্মি আব্দুর রহিমের স্বজনরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা এলাকায় মাদক নির্মূল কমিটির নেতৃত্ব দিতেন। কিন্তু অন্তরালে তারা অপহরণসহ বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল।