
অনলাইন ডেস্কঃ
জেলা ও মাঠ প্রশাসনের সর্বেসর্বা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। তাদের অধীনে জেলা ও উপজেলায় রয়েছে বিভিন্ন কমিটি। জেলায় ডিসি ও উপজেলায় ইউএনওরা এসব কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্বের ভারে ভারাক্রান্ত। এমনকি এতসব কমিটির ভিড়ে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রাধীন জেলা, উপজেলায় ঠিক কতগুলোর সভাপতি ও সদস্য সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন, তা নিজেরাই জানেন না; যদিও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সরকারি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তারা।
নতুন করে মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়োগ নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্যের পর বিষয়টি ফের আলোচনায় আসে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের নীরব আলোচনা শুরু হয় যে, আর কত কমিটির দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাদের ভাষ্য, সীমিত লোকবলের মাধ্যমে যে দায়িত্ব পালন করতে হয় তাতেই ভারাক্রান্ত তারা।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘এসব কমিটির দায়িত্ব ডিসি ও ইউএনওদের পরিবর্তে অন্য কাউকে দিলে সাধারণ মানুষ ও সরকারের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানবে না। এজন্য সরকার সব দায়িত্ব তাদের গছিয়ে দেয়। মানুষ মনে করে, ডিসি ও ইউএনওরা দায়িত্ব পালন করলে দুর্নীতি বন্ধ হবে না, কিন্তু নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর ডিসি-ইউএনওরা সরকারের আইনকানুন জানেন ও সরকারের প্রটোকল অনুযায়ী কাজ করতে পারেন, এজন্য তাদেরই এসব দায়িত্ব পালন করতে হয়। আর এভাবে কাজে অভ্যস্ততার কারণে তাদের খুব বেশি সমস্যাও হয় না।’
জানা গেছে, দেশের উপজেলাগুলোতে ইউএনওদের অধীনে এলাকাভেদে গড়ে অন্তত ১৫০টি কমিটি রয়েছে। জেলা প্রশাসকের অধীনে রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক কমিটি। তবে ঠিক কতগুলো কমিটি রয়েছে, তার নির্দিষ্ট কোনো তালিকা নেই জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে। দায়িত্বরত অন্তত তিনজন ডিসি ও ২০ জন ইউএনওর সঙ্গে কথা হয় কালবেলার; কিন্তু তাদের একজনও তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি ঠিক কতগুলো কমিটির সভাপতি, সদস্য সচিব, সদস্য বা সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। তবে ২০২৪ সালের সরকারের এক হিসাব থেকে জানা যায়, জেলা প্রশাসকের অধীনে তিন শতাধিক কমিটি রয়েছে। যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই কমিটির সংখ্যা তার চেয়ে আরও একশর বেশি হবে।
প্রশাসনের এই কর্মকর্তারা জানান, নামমাত্র অনেক কমিটির দায়িত্ব পালন করতে হয় তাদের। প্রতিবেদন প্রদানের স্বার্থে ততোধিক কমিটির সদস্যদের সামঞ্জস্য থাকায় কিছু কিছু কমিটির মিটিং একই দিনে করতে হয়। কিছু কিছু কমিটির দায়িত্ব এজেন্ডার ওপর নির্ভর করে, যেমন: খাসজমির বন্দোবস্ত, সার-বীজের লাইসেন্স, অকেজো ভবনের তালিকা করা, ভোটের সময় দায়িত্ব পালন, বাসা বরাদ্দ ইত্যাদি। কিছু কিছু কমিটির সভা মাসে, তিন মাসে, ছয় মাসে একবার অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে বেশ কয়েকজন সাবেক জেলা প্রশাসক বলেন, তারা আসলে চাকরি নয়, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেন। চব্বিশ ঘণ্টাই জেলা প্রশাসককে ব্যস্ত থাকতে হয়। সীমিত জনবল দিয়ে এসব কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হলেও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের জন্য কিছু কিছু দায়িত্ব ভাগাভাগি করার সুযোগ থাকায় দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয়।
এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, “হঠাৎ করে জিজ্ঞেস করলে কমিটির সংখ্যা বলতে পারা কঠিন। কিছু কমিটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে, কিছু কমিটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আবার কিছু স্থানীয় প্রয়োজনে রয়েছে। সংখ্যা কোনোভাবেই কয়েকশর কম হবে না। আর কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের প্রদত্ত দায়িত্বকে ‘না’ বলার সুযোগ নেই। তাই সরকার যে দায়িত্ব দেবে, তা পালন করতেই হবে।”
জেলা প্রশাসকদের মতো ইউএনওদেরও জনবল অনেক কম হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনে দায়িত্বরতদের হিমশিম খেতে হয় বেশি। তবে সরকারের এসব দায়িত্ব বেশি হলেও সে সম্পর্কে মুখ খুলতে রাজি নন কেউ। মাত্র পাঁচ-ছয়জন কর্মচারী নিয়ে দেড় শতাধিক কমিটির দায়িত্ব পালন করা কঠিন তবে অসম্ভব নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলাভেদে কিছু কিছু কমিটি বাড়তি থাকে। আবার সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কমিটি বিলুপ্ত হয়। কিছু কমিটির নাম পরিবর্তন হয়ে কর্মকাণ্ড আগের মতোই থাকে। আবার কিছু কমিটির কর্মকাণ্ড নির্ভর করে ঘটনা ঘটার ওপর। যেমন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন বিষয়ে লাইসেন্স প্রদান, খাসজমি ও বাসা বরাদ্দ ইত্যাদি।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, ‘কমিটির সঠিক সংখ্যা মনে নেই, একশর অধিক তো হবেই। সরকারের কর্মপদ্ধতি অনুসারে সব উপজেলাতেই কাছাকাছি সংখ্যক কমিটি আছে, তবে এলাকা ও ইউনিয়নের সংখ্যা ভেদে কমিটির সংখ্যায় তারতম্য হয়। সরকারের দায়িত্বকে বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে মনে করার সুযোগ নেই।’
দেশের বেশকিছু বড় ও ছোট উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কমিটির একটি গড় তালিকা পাওয়া গেছে। এসব তালিকা ঘেঁটে বেশিরভাগ উপজেলার কমিটির সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে, তবে কিছু কিছু উপজেলায় কমিটির সংখ্যায় তারতম্য লক্ষ করা গেছে। কিছু কিছু জায়গায় সরকারি প্রকল্পের জন্য আলাদা কমিটি করা হয়, সেজন্য এলাকাভেদে কমিটির সংখ্যা ও প্রকারে ভিন্নতা পাওয়া গেছে। যেসব কমিটি প্রায় সব উপজেলাতেই রয়েছে, তার মধ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, চোরাচালান নিরোধ টাস্কফোর্স, দফাদার ও মহল্লাদার নিয়োগ বাছাই, গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা, নদী রক্ষা, তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ, দরপত্র মূল্যায়ন ও ইজারা প্রদান, ইজারাবিহীন হাটবাজার খাস আদায়, হাটবাজার ব্যবস্থাপনা, উচ্চফলনশীল পাট বীজ উৎপাদন, পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনা, জেএসসি পরিচালনা, শিল্পকলা একাডেমি, ক্রীড়া সংস্থা, কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা কমিটি, জলাশয় নির্বাচন ও পোনা অবমুক্ত করণ, মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে বই বিতরণ, আন্তঃইউনিয়ন খেয়াঘাট ইজারা, আইসিটি এবং সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করার ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীনদের তালিকা বাছাই সংক্রান্ত।
এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের বিআরটিএ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের উপজেলা যাচাই-বাছাই, উপজেলা সেচ ব্যবস্থাপনা, উপজেলা কৃষিঋণ, এনজিও সমন্বয়, তামাক নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স, বাংলাদেশ স্কাউটস, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন, কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা, ওএমএস, সার ও বীজ মনিটরিং, থোক বরাদ্দ সমন্বয়, জলমহাল ব্যবস্থাপনা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় গ্রুপ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনুদান মঞ্জুরি, ভিজিডি কমিটি, জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ, মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম, মাতৃত্বভাতা, স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির অনুদান, চাইল্ড প্রটেকশন নেটওয়ার্ক, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে দেশের সরকারি হাটবাজারসমূহের ইজারালব্ধ আয়ের ৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত, কেমিক্যালের মাধ্যমে ফল পাকানো বন্ধকরণ, স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় বাস্তবায়নাধীন ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন সেক্টর প্রকল্পের স্থানীয় দ্বন্দ্ব নিরসন, সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং কারাগারে থাকা শিশু-কিশোরদের অবস্থা উন্নয়নের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কমিটি।
আরও রয়েছে শিক্ষকদের পদোন্নতি ও টাইমস্কেল মঞ্জুরি, প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান বাছাই কমিটি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বিতরণ সংক্রান্ত, সমাজকল্যাণ পরিষদ, পল্লি সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, উপজেলা কার্যক্রম বাস্তবায়ন (অ্যাসিড দগ্ধ), শিশু কল্যাণ বোর্ড, অংশীদারত্ব পল্লি উন্নয়ন প্রকল্প, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সমন্বয়, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পোষ্যদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক কর্মসূচি, বিধবা ও স্বামীপরিত্যক্ত দুস্থ নারীদের ভাতা প্রদান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা প্রদান, পল্লি প্রগতি প্রকল্প, মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, স্বপ্ন সেলের কমিটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাব, মানব পাচার প্রতিরোধ, ক্যাচম্যান এলাকা নির্ধারণ এবং তথ্য জরিপ হালনাগাদ, রাজস্ব বিভাগের আওতাধীন পুরোনো মালপত্র-গাছ নিলামে বিক্রয়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জায়গায় অবস্থিত ঝরে পড়া এবং গাছ কাটা ও নিলামের জন্য উপজেলা কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন মনিটরিং, অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও হস্তান্তর, প্রাথমিক স্তরে পাঠ্য পুস্তক যাচাই বাছাই ও বিতরণ, গৃহায়ন কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলা পর্যায়ে অবস্থিত পুরোনো জরাজীর্ণ বিএস কোয়ার্টার বা বীজাগার নিলাম, রোপণকৃত পরিপক্ব গাছ কর্তন, সামাজিক সম্প্রীতি, জমিতে মরা বা ঝড়ে পড়া গাছ নিলাম বিক্রয়করণ, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট অধীন প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচারণা, সড়ক নিরাপত্তা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ, পিএমটি উপদেষ্টা কমিটি, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা, প্রতিযোগিতামূলক বাছাই, পুল শিক্ষক নিয়োগ, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন, বিল নার্সারি কার্যক্রম, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা সমন্বয়, নৃতাত্ত্বিক (আদিবাসী) জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন, উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, ইনোভেশন টিম, সমবায় পণ্য মেলা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, পরিবেশ ও বন উন্নয়ন, যুব উন্নয়ন ঋণ অনুমোদন ও পর্যালোচনা, মাসিক রাজস্ব সভা, বিনিময় সম্পত্তি সভা, পুরোনো মালপত্র বা গাছ নিলামে বিক্রয় কমিটি, আশ্রয়ণ প্রকল্প বা গুচ্ছগ্রাম, উপজেলা অ্যাডভাইজারি, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম-সংক্রান্ত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা খোলা-সংক্রান্ত, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ-সংক্রান্ত, উপজেলা শুমারি বা জরিপ এবং মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের জন্যও রয়েছে আলাদা আলাদা কমিটি।
আরও আছে, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ বাস্তবায়ন ও সমন্বয়, এপিএ-সংক্রান্ত, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, পল্লি মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম বাস্তবায়ন, দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা, উপজেলা আশ্রয়ণ ঋণ কমিটি, জাতীয় সমবায় পুরস্কার কমিটি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ, সেতু বা কালভার্ট নির্মাণের স্থান নির্বাচন ও সুষ্ঠু বাস্তবায়ন, ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম, দেশি ভেড়া উন্নয়ন ও সংরক্ষণ, শিশুদের মৌসুমি প্রতিযোগিতা, জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা, আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থীদের পোশাক সরবরাহ, আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যাচাই, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি-কাম-প্রহরী পদে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন, রিসোর্স টিম, প্রকল্প বাস্তবায়ন নির্দেশিকা, উপজেলা বাস্তবায়ন ও তদারকি, ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার মনোনয়ন, ভূমি সংস্কার, কৃষি পুনর্বাসন ও বাস্তবায়ন, পোনা ক্রয় ও গ্রহণ, মৎস্য চাষ ব্যবস্থাপনা, জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান, কারাবন্দি শিশু বা কিশোর অপরাধী সংশোধনী, ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন, বাল্যবিবাহ নিরোধ, শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ, পুষ্টি সমন্বয়, মৎস্য ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন, উপবৃত্তি, পল্লি উন্নয়ন পদক, খাদ্যবান্ধব কমিটি, শিশু একাডেমি পরিচালনা, ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট, জাকাত কমিটি, সরকারি শিশু পরিবার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং এবং জাতীয় যুব কাউন্সিল মনোনয়নসহ নানান কমিটি।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, ‘হালনাগাদ তথ্য জেনে বলতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিয়তই কমিটি হয় এবং যার দায়িত্ব জেলা প্রশাসক ও ইউএনওদের পালন করতে হয়। কমিটির সংখ্যা বেশি হলেও এগুলো বিশেষ চাপের কিছু নয়। কিছু কিছু কমিটির বৈঠক বছরে, ষাণ্মাসিক, ত্রৈমাসিক ও মাসিক ভিত্তিতে হয়। একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক কমিটি সব জেলা-উপজেলাতেই থাকে, আবার এলাকাভেদে কিছু কমিটির সংখ্যায় ভিন্নতা থাকে।’
সূত্রঃ কালবেলা