
অনলাইন ডেস্কঃ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত এক হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিন পেয়েছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার।
সোমবার (১১ আগস্ট) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ থেকে এ জামিন পেয়েছেন তিনি।
চলতি বছরের ৯ এপ্রিল রাজধানীর উত্তরায় টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফকে হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
এর আগে ১২ মার্চ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার জামিন পান।
গত বছরের ৫ নভেম্বর রাতে উওরা ৪নং সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ৫৩ নম্বর বাসা থেকে আটক করা হয় অভিনেত্রীকে শমী কায়সারকে।
ওই মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন শমী কায়সার। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। এরপর আপিল বিভাগ চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন। এর ধারাবাহিকতায় রুলের ওপর শুনানি শেষে রায় দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী সরকার পতনের পর ১৪ আগস্ট দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন শমী কায়সার।
১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন শমী। তার বাবার নাম শহীদুল্লাহ কায়সার ও মাতার নাম পান্না কায়সার। তার মা পান্না একজন লেখিকা এবং সাবেক সংসদ সদস্য। সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দুজা চৌধুরীর স্ত্রী মায়া পান্নার বোন। সে হিসেবে শমী কায়সার এবং রাজনীতিক মাহি বি চৌধুরী খালাতো ভাই-বোন।