
অনলাইন ডেস্কঃ
অবশেষে স্থায়ী জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের অন্তত: ২০ গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। শুক্রবার সকালে অত্র ইউনিয়নের পানি সরবরাহের সরকারি খাস খাল সংলগ্ন ৩টি সুইস গেটের বাহির চরের খাল খনন কাজ শুরু হওয়ায় এমনই আশা প্রকাশ করেছেন এলাকার সর্বমহল। স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়েছেন ভূক্তভোগি হাজারো মানুষ।
এলাকাবাসীর জলাবদ্ধতার হাত থেকে রেহাই দিতে প্রশাসনের সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল খননের উদ্বোগ নিলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় স্কেভেটর (ভেকু মেশিন দিয়ে) পলিমাটি খনন কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা বিএনপি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ।
সাতক্ষীরার আশাশুনি ও খুলনার পাইকগাছা উপজেলা সীমান্ত তথা বড়দল-চাঁদখালী সীমান্ত কপোতাক্ষ নদ শুকিয়ে পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় ৩টি সরকারি খাস খাল চাঁদখালী, চকবিষ্ণপুর ও ফতেপুর এলাকার সুইস গেটের মুখও বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে দেখা দেয় অত্র এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। বিগত পনের বছর যাবৎ এলাকাবাসি সীমাহীন জলাবদ্ধতার সাথে মোকাবেলা করে আসছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই অত্র ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পান্দিবন্দি হয়ে মানবেতন জীবন-যাপন করে আসছে।
পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসে সূত্রে জানা গেছে, চাঁদখালী ব্লুইস গেটের ২১১ মিটার, চকবিষ্ণপুর সুইস গেটের ১৩৫ মিটার এবং ফতেপুর সুইস গেটের ২১০ মিটার খাল খনন করে কপোতাক্ষ নদের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ৩টি খালের মাধ্যমে এলাকার পানি নিস্কাশন করা হবে।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ একরামুল হোসেন বলেন, চাঁদখালী ইউনিয়নের ৩টি স্লাইজ গেট দিয়ে পানি সরলে ঐ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। অনাবাদি জমি কমে শত শত একর আবাদি জমি চাষের আওতায় আসবে।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, এলাকাবাসির দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় খনন কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।