
অনলাইন ডেস্কঃ
মতাদর্শগত বিরোধ নেই। রণনীতি-রণকৌশল নিয়ে বিরোধ নেই। পরবর্তী আন্দোলন ও জাতীয় নির্বাচনী কৌশল নিয়ে মতবিরোধ নেই। তারপরও খুলনা জেলা সিপিবিতে দুটি ধারা স্পষ্টতঃ দ্বিধাবিভক্ত। বিরোধ ব্যক্তিগত পর্যায়ে, পছন্দ-অপছন্দকে ঘিরে। দু’গ্রুপই নিজস্ব লোক তৈরি করতে চায়, যা মার্কসীয় দর্শনের পরিপন্থী। এই দ্বন্দ্ব মাথায় নিয়েই আজ থেকে শুরু হবে দলের দ্বাদশ জেলা সম্মেলন।
এবারের সম্মেলনের বার্তা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষায় শোষণ ও বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান। নির্বাচন ও পরবর্তী আন্দোলনের বার্তা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই জেলা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালের ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্ব আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় স্থানীয় শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন শেষে প্রেসক্লাব অভিমুখে লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। দু’দিনের সম্মেলনের সমাপ্তি হবে আগামি শুক্রবার কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে।
দলের দুটি ধারার একাংশে রয়েছেন ডাঃ মনোজ কুমার দাস, এস. এ. রশিদ ও মোঃ আব্দুল হান্নান।
অপর অংশে রয়েছেন ডাঃ ফরিদুজ্জামান, অশোক সরকার, মিজানুর রহমান বাবু ও চিত্তরঞ্জন গোলদার। বিরোধটি মূলত দলে সার্বক্ষণিক সময় দেওয়া নিয়ে, রতণ সেন কলেজিয়েট স্কুলের অনিয়মের মাধ্যমে গাছ কাটা প্রসঙ্গকে ঘিরে এবং দলে পছন্দের লোককে নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ে।
এ প্রসঙ্গে দলের নেতা মিজানুর রহমান বাবু বলেছেন, বর্তমান নেতৃত্বের তৎপরতা ব্যক্তিগত পর্যায়ের। দলের বর্তমান নেতৃত্ব নিজের লোকদের সুবিধা দিতে চায়, যা মার্কসীয় দর্শনের পরিপন্থী।
দলের অপর সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে খুলনা-১ আসনে অশোক সরকার, খুলনা-২ আসনে সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স, খুলনা-৩ আসনে এস এম চন্দন, খুলনা-৪ আসনে এড. শেখ আব্দুল হান্নান, খুলনা-৫ আসনে এড. চিত্তরঞ্জন গোলদার ও খুলনা-৬ আসনে শেখ আব্দুল হান্নানের নাম প্রাথমিক তালিকায় রয়েছে।